
আজ মুম্বাইয়ে নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে স্বাগতিক ভারতের মুখোমুখি হবে দক্ষিণ আফ্রিকা। এবারই প্রথম মেয়েদের বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছে প্রোটিয়ারা। ভারতের অবশ্য এটি তৃতীয় ফাইনাল। তবে আগের দুইবার শিরোপার মঞ্চ থেকে দলটিকে ফিরতে হয়েছিল খালি হাতে।
দুই দলের অবস্থান তাই একবিন্দুতে। দুই দলের সামনেই প্রথমবার মেয়েদের বিশ্বকাপের শিরোপা উঁচিয়ে ধরার হাতছানি।
আগের দুইবারের প্রথমটিতে ২০০৫ সালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল ভারতের। এবার সেমিফাইনালে অজি মেয়েদের হারিয়েই ফাইনালে জায়গা করে নেয় তারা।
দ্বিতীয়বার ২০১৭ সালে ভারতের শিরোপা জেতা হয়নি ইংল্যান্ডের কাছে হেরে। সেই দলের স্মৃতি মান্ধানা, হারমানপ্রিত কৌর এবং দীপ্তি শর্মা এবার বিশ্বকাপ দলের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। অন্যদিকে প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৬৯ রানে অল আউট হওয়া প্রোটিয়া মেয়েদের শুরুটা একদমই ভালো ছিল না। সেমিতে সেই ইংলিশদের উড়িয়ে দিয়ে এখন প্রথমের অপেক্ষায় তারা।
ভারত অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌর ও দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক লরা উল্ভার্ট দু’জনই এই ম্যাচে কোনো অতীত চাপ বা ব্যর্থতা নিয়ে না আসার কথা বলেছেন। লিগ পর্বে নাদিন দে ক্লার্কের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ম্যাচ শেষ মুহূর্তে হারলেও ভারত নিজের ভুলগুলো বুঝতে পেরেছে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটিতেও জয়ের কাছাকাছি গিয়েও ম্যাচ শেষ করতে না পারা ভারতীয় দলের পুরোনো দুর্বলতা।
ভারতীয় দলের ব্যাটিং লাইনআপ যথেষ্ট শক্তিশালী। স্মৃতি মন্ধানা, জেমিমাহ রদ্রিগেজ ও হরমনপ্রীতের ধারাবাহিক রান তাদের সম্ভাবনা বাড়াচ্ছে।
বোলিংয়ে রেনুকা সিংহ ও তরুণ ক্রান্তি গৌড়ের সমন্বয় ভারসাম্য বজায় রাখছে।
প্রোটিয়াদের ভরসা উল্ভার্ট ও তাজমিন ব্রিটসের ওপেনিং জুটি। শেষের দিকে নাদিন দে ক্লার্ক ও ক্লোয়ি ট্রায়নের ঝড়ো পারফরম্যান্স দলকে গুরুত্বপূর্ণ চেজে সাহায্য করেছে।
দুই দলের জন্যই ম্যাচটি হবে চূড়ান্ত পরীক্ষার। ভারত ঘরের মাঠের সুবিধা এবং দর্শকদের সমর্থনে আত্মবিশ্বাসী, তবে দক্ষিণ আফ্রিকার তরুণ ও অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের মিলে কঠিন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
