
ঢাকাই চলচ্চিত্রের নন্দিত অভিনেত্রী সাদিকা পারভীন পপি আবার আলোচনায় এসেছেন। তবে কোনো সিনেমা নয়, বরং পারিবারিক বিরোধের কারণে। নিজের জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই অভিনেত্রী।
পপি সমকালকে জানান, পারিবারিক সম্পত্তি ও জমি-সংক্রান্ত দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে তাঁকে ঘন ঘন হুমকি দেওয়া হচ্ছে। বিশেষ করে তাঁর চাচাতো বোনের স্বামী তারেক আহমেদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন তিনি। পপির ভাষ্য, ‘বছরখানেক ধরে এই ভয়ভীতি বেড়ে চলেছে। এমনকি ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ের মৃত্যুসংবাদ শুনেও খুলনায় যাওয়ার সাহস হয়নি।’
পপি আরও বলেন, ‘নিখুঁত পরিকল্পনা করে তারেক আমাকে ফোন করে জানায়, খুলনায় গেলে আমাকে মারার চেষ্টা করা হবে। নিজের নিরাপত্তার কথা ভেবে সেখানে যাওয়া সম্ভব হয়নি।’
পপির অভিযোগ, ২০০৭ সালে তাঁর চাচা কবির হোসেনের কাছ থেকে কেনা জমির দলিল থাকলেও বর্তমানে তাঁর চাচাতো বোন মুক্তা ও তারেক দখল করে রেখেছেন। জমি ব্যবহার করতে গেলে নানা ভয়-ভীতি দেখানো হয়। এ ছাড়া পপি দাবি করেন, অতীতেও রাজনৈতিক প্রভাব ব্যবহার করে তাঁকে হয়রানি করা হয়েছে।
তিনি প্রশাসনে আবেদন জানিয়েছেন বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখার জন্য। অভিযোগে উল্লিখিত তারেক আহমেদ চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি ভিত্তিহীন। আমি কোনো হুমকি-ধমকি দিইনি।’
চলতি বছরের জুলাই মাসে পপির আরেক চাচা মিয়া বাবুল হোসেনও একই ব্যক্তির বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ তুলেছিলেন এবং সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
গত মাসে পপি অভিনীত ‘ডাইরেক্ট অ্যাটাক’ সিনেমাটি মুক্তি পায়। ২০১৯ সালে এ সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন তিনি। এরপর সিনেমায় অনিয়মিত হয়ে পড়েন তিনি। পরে একেবারে আড়ালে চলে যান। চলতি বছরে ফেব্রুয়ারির শুরুতে তাঁর বিরুদ্ধে জমি দখলচেষ্টার অভিযোগ ওঠে। খুলনা নগরীর সোনাডাঙ্গা থানায় জিডি করেছিলেন তাঁর বোন ফিরোজা পারভীন। এর পরই স্বামী-সন্তানসহ প্রকাশ্যে আসেন পপি। এদিকে নতুন সিনেমায় অভিনয়ে ফেরার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ বলে জানিয়েছেন পপি।
গুণী নির্মাতা মনতাজুর রহমান আকবর পরিচালিত ‘কুলি’ সিনেমায় ওমর সানীর বিপরীতে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে ঢাকাই সিনেমায় অভিষেক হয় পপির। অভিষেক সিনেমায় তিনি সারাদেশে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলেন।
