
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান সংঘাতের জেরে কক্সবাজারের টেকনাফের সঙ্গে সেন্ট মার্টিন দ্বীপের নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। বুধবার (১১ ডিসেম্বর) থেকে এই বন্ধ ঘোষণা করেছে টেকনাফ উপজেলা প্রশাসন।
মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির মন্ডু শহর দখলে নেওয়ার পর থেকে নাফ নদের আরাকান জলসীমাসহ সেন্ট মার্টিন দ্বীপে যাতায়াতকারী সব ধরনের নৌযান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে টেকনাফ উপজেলা প্রশাসন। সেই সঙ্গে নাফ নদে মাছ ধরাও বন্ধ রয়েছে।
এ ঘটনায় জোরদার করা হয়েছে সীমান্তের টহল কার্যক্রম। বিজিবি ও কোস্ট গার্ড নৌযান নিয়ে নাফ নদে টহলও অব্যাহত রেখেছে। এদিকে টেকনাফ স্থলবন্দরের কোনো পণ্যবাহী জাহাজ চার দিন ধরে বন্দরে আসছে না।
স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) জসিম উদ্দিন চৌধুরী জানান, শুক্রবার সর্বশেষ মাছ বোঝাই একটি কার্গো জাহাজ এসেছিল।
এর পর থেকে কোনো জাহাজ বন্দরে ভেড়েনি। আরাকান আর্মি মিয়ানমার থেকে কোনো পণ্যবাহী জাহাজ আসতে বাধা দিচ্ছে কি না, সেটা নিশ্চিত না হলেও পরিস্থিতিগত কারণে মিয়ানমার থেকে কোনো জাহাজ আসছে না।
সেন্ট মার্টিন ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি রশিদ আহমেদ জানান, মঙ্গলবার রাতে কোস্ট গার্ডের পক্ষ থেকে ট্রলার চলাচলে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি জানানো হয়। এ কারণে বুধবার সকালে টেকনাফ থেকে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে কোনো নৌযান ছাড়েনি। তবে কক্সবাজার থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ যথারীতি চালু রয়েছে।
টেকনাফের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন জানান, আরাকান আর্মি টেকনাফ সীমান্তের ওপারের এলাকাটি পুরোপুরি দখলে নিয়েছে। এই সংবাদ জানার পর থেকে নাফ নদে সব নৌযান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। তিনি আরো জানান, টেকনাফের ফিশিং ট্রলার মালিকদের অবহিত করা হয়েছে। যেহেতু সীমান্ত এই মুহূর্তে ঝুঁকিপূর্ণ।
সেখানে কোনো ট্রলার না যাওয়ার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে।
তিনি আরো জানান, সীমান্তে অনুপ্রবেশ রোধে বিজিবি ও কোস্ট গার্ডের টহল জোরদার রয়েছে। অনির্দিষ্টকালের জন্য এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, রবিবার সকালে আরাকান রাজ্যের মংডু অঞ্চলের সামরিক জান্তার বর্ডার গার্ড পুলিশ ডিভিশনের (নাখাখা-৫) শেষ পোস্টটি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। দেশটির সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি মংডু শহর পুরোপুরি দখলে নিয়েছে।
