
ভোলার তজুমদ্দিন একই দিনে বাকপ্রতিবন্ধী কিশোরী ও এক সন্তানের জননীকে ধর্ষণের ঘটনায় থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের হয়েছে। মামলা দায়েরের পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৩ অভিযুক্তকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
এজহার সুত্রে জানা যায়, উপজেলার বালিয়া গ্রামের মোঃ জাফরের বাকপ্রতিবন্ধী কিশোরীকে(১৫) তার মামা বাদশা বেড়ানো কথা বলে শনিবার (১৪ জুন) তার বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে বাসায় লোকজন না থাকায় লম্পট বাদশা নিজের আপন ভাগ্নিকে ধর্ষণ করে। পরে ধর্ষিতার ডাকচিৎকারে পাশ^বর্তী লোকজন আসলে ধর্ষক পালিয়ে যায়। এঘটনায় ধর্ষিতার মা জাহানারা বেগম বাদী হয়ে ধর্ষক বাদশাকে (৫০) আসামী করে নারী ও শিশু নির্যতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ০৪।
জানতে চাইলে তজুমদ্দিন থানার অফিসার ইনচার্জ মহব্বত আলী খাঁন বলেন, মামা বাদশা তার ভাগ্নিকে ধর্ষণের ঘটনায় তার বোন ও ধর্ষিতার মা জাহানারা বেগম বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। ধর্ষককে গ্রেপ্তারের আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
অপরদিকে উপজেলার কেয়ামূল্যাহ গ্রামে এক সন্তানের জননীকে (২৫) আবাসনের ঘর থেকে কৌশলে বের করে রাত ১টা থেকে ৩টার দিকে কালি বাজার এলাকায় নিয়ে অভিযুক্ত সুমনের বসত ঘরের পাশে বাগানে পালাক্রমে ধর্ষণ করে একটি সংঘবদ্ধ চক্র। পরে রাতে থানায় হাজির হয়ে ৪জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ৪/৫জনকে আসামী করে নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে ৯/৩(৩০) ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ৫। রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৩ধর্ষককে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, বেলাল (৩৫), সুমন (৩২) ও সোহেল (২৪)।
জানতে চাইলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও তজুমদ্দিন থানার ওসি (তদন্ত) ফিরোজ আলম হাওলাদার বলেন, এক সন্তানের জননী সংঘবদ্ধ ধর্ষনের শিকার নারী বাদী হয়ে তজুমদ্দিন থানায় একটি মামলা দায়ের করলে রাতে ৩ ধর্ষককে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্য আসামীদের গ্রেপ্তারে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।