
চট্টগ্রামে ১৪ বছর আগে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে এক ব্যক্তিকে খুন করার দায়ে ৫ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তিনজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
সোমবার চট্টগ্রামের চতুর্থ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ রোজিনা খান এ রায় দেন।
দণ্ডিতরা হলেন- নুরুল আবছার, মো. রফিক, মো. সোলায়মান, আহাম্মদ ও মো. ইলিয়াস। খালাস পাওয়া তিনজন হলেন- আবদুল কুদ্দুস, মো. এনাম ও মো. আনোয়ার।
দণ্ডিতদের মধ্যে মো. রফিক পলাতক আছেন। বাকি চারজন রায় ঘোষণার সময় আদালতে হাজির ছিলেন। আদালত তাদের সাজামূলে কারাগারে পাঠানোর এবং রফিকের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারির আদেশ দেন।
আসামিরা সবাই চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার চাতরি ইউনিয়নের বাসিন্দা।
আদালত সূত্র জানায়, ২০১১ সালের ১৯ আগস্ট রাতে আনোয়ারা উপজেলার চাতরি ইউনিয়নের পশ্চিম সিংহরা গ্রামের বাসিন্দা আবদুস শুক্কুরের সঙ্গে প্রতিবেশীর ঝগড়া হয়। ওই রাত দেড়টার দিকে অজ্ঞাত একটি নম্বর থেকে তার মোবাইলে কল দিয়ে তাকে ঘরের বাইরে ডেকে নেওয়া হয়। এরপর আবদুস শুক্কুরকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে খুন করে লাশ আরও দূরে নিয়ে ধানের জমিতে ফেলে দেওয়া হয়। দুই দিন নিখোঁজ থাকার পর গ্রামের একটি মুরগির ফার্মের কাছে ধানখেত থেকে তার লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় তার ছেলে মোহাম্মদ মিজান বাদী হয়ে ৭ জনের বিরুদ্ধে আনোয়ারা থানায় মামলা করেন।
ওই মামলা তদন্ত শেষে ৮ জনকে আসামি করে ২০১১ সালের ২৮ নভেম্বর পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের পর ১০ জনের সাক্ষ্য নিয়ে আদালত এ রায় দেন।
আদালতের স্টেনোগ্রাফার হিমেল শেখ জানান, পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। আর তিনজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
