
য়োদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোলা-৪ আসেনর জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী অধ্যক্ষ মাওলানা মোস্তফা কামালের নির্বাচনী মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা করেছেন দলটির নেতাকর্মীরা।
শুক্রবার (২০ নভেম্বর) সকালে উপজেলা দক্ষিণ সাকুচিয়া জনতা বাজার থেকে শোভাযাত্রাটি বের করা হয়। এতে হাজারও নেতাকর্মী মোটরসাইকেল নিয়ে শোভাযাত্রায় অংশ নেয়। পরে শোভাযাত্রাটি নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন সড়ক ঘুরে ১নং মনপুরা ইউনিয়নের নতুন বাজার গিয়ে শেষ হয়। এতে আগত কর্মী-সমর্থকরা তাদের প্রার্থীকে নির্বাচিত করবেন বলে জানান।
শোভাযাত্রায় প্রার্থীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ভোলা জেলা ওলামা বিভাগের সভাপতি ও মনপুরা উপজেলার সাবেক আমির মাওলানা রফিকুল ইসলাম, উপজেলা আমির মাওলানা আহসানুল হক জসিম, সেক্রেটারি মাওলানা আলাউদ্দিন ফরাজি, মনপুরা ওলামা বিভাগের সভাপতি মাওলানা শামসুউদিন, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি মাওলানা ইউনুস, শুরা ও কর্মপরিষদের সদস্য হাফেজ মতিউর রহমানসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

পরে রামনেওয়া নতুন বাজার জামায়াতে ইসলামী ইউনিয়ন কার্যালয়ের সামনে এক সংক্ষিপ্ত পথ সভায় উদ্বোধনী বক্তব্যে ভোলা জেলা ওলামা বিভাগের সভাপতি মাওলানা রফিকুল ইসলাম বলেন, আজকের এই বিশাল শোভাযাত্রা কোন প্রদর্শনেচ্ছার বিষয় নয়, এটি হচ্ছে ইসলামের পক্ষের গণজাগরণ। দুনিয়াবী সকল মতবাদের কাছে নিরাশ হয়ে মানুষ এখন ইসলামের পক্ষেই ফিরে আসছে, এটি তার বাস্তব প্রমাণ। আমরা আশা করছি- আগামীর বাংলাদেশ হবে ইসলামের বাংলাদেশ, আগামীর বাংলাদেশ হবে ন্যায় এবং ইনসাফের।
পরে সমাপনী বক্তব্য রাখেন, ভোলা জেলা জামায়াতে ইসলামী সাবেক আমির ও ভোলা -৪ আসনের মনোনীত প্রার্থী অধ্যক্ষ মোস্তফা কামাল।
তিনি বলেন, ভোলা-৪ আসনে ইসলামের পক্ষে তথা দাঁড়িপাল্লার পক্ষে যে, গণজোয়ার তৈরি হয়েছে। তার সুফল সকল ইসলামী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধভাবে ঘরে তুলতে হবে।এই আসনের প্রকৃত সমস্যা চিহ্নিত করে সেগুলোর সমাধানে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে ইশতেহার প্রস্তুত করা হচ্ছে।
আগামী নির্বাচনে দাঁড়িপাল্লার বিজয়ের মাধ্যমে বিগত সময়ের অসম্পূর্ণ কাজগুলো সম্পন্ন করে চরফ্যাশন -মনপুরাকে দেশের একটি মডেল আসন হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হবে।
রাস্তা দিয়ে বিশাল বহর যাওয়ার সময় উৎসুক এলাকাবাসী হাত নেড়ে জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মিদের অভিবাদন জানায়। গ্রামগঞ্জে বিভিন্ন বাড়ি থেকে শিশু কিশোর ও যুবকরা এতে যোগ দেয়। দাড়িপাল্লার স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয় প্রতিটি এলাকা। এ সময় গ্রামের নারীরাও তাদের ঘর থেকে বর্ণাঢ্য মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা অবলোকন করেন।
মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা অংশ নেয়া প্রত্যেকের গায়ে ছিল বিশেষ স্লোগানযুক্ত গেঞ্জি। সুশৃঙ্খলভাবে একটি সাড়িতে শত শত মোটরসাইকেল যেন এক ভিন্ন দৃশ্যের অবতারণা করে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জামায়াতের এই শৃঙ্খলার ভুয়সী প্রশংসা করেন।
তারা বলেন, ৫ আগস্টের পর থেকে জামায়াত যেভাবে মানুষের পাশে দাড়িয়েছে এবং নিজেদেরকে বিতর্কিত কর্মকান্ড থেকে দুরে রেখেছে তাতে দেশজুড়ে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। এসব বিবেচনায় নিরপেক্ষ নির্বাচনে পাল্টে যেতে পারে ভোটের সব হিসাব।
