ঢাকাসোমবার , ৪ নভেম্বর ২০২৪
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. উৎসব
  5. ঐতিহ্য
  6. কৃষি
  7. ক্যাম্পাস
  8. খেলাধুলা
  9. গণমাধ্যম
  10. চাকরি
  11. জাতীয়
  12. তথ্যপ্রযুক্তি
  13. ধর্ম
  14. নির্বাচন
  15. পরিবেশ

সুখের সন্ধানে গিয়ে লাশ হলেন নিজাম

অনলাইন ডেস্ক
নভেম্বর ৪, ২০২৪ ৬:১২ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

সংবাদটি শেয়ার করুন....

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার যুবক নিজাম উদ্দিন (৩২)। অভাবের সংসারে সচ্ছলতা ফেরাতে ১২ বছর আগে তিনি পাড়ি জমান লেবাননে। কিন্তু সুখ তার অধরাই থেকে যায়। গত শনিবার স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত হন তিনি।

নিজামের পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। এদিকে লেবানন থেকে লাশ দেশে ফিরিয়ে আনা নিয়ে এলাবাকাসী ও নিজামের স্বজনদের মনে সংশয় দেখা দিয়েছে। তাই লাশ দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছেন স্বজনরা।

নিজাম উদ্দিন কসবা উপজেলার খাড়েরা গ্রামের মৃত আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে। পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে তিনি সবার ছোট। রবিবার (৩ নভেম্বর) নিজামের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, ঘরের সামনে বসে আছেন নিজামের দুই বোন সায়েরা বেগম ও পারুল বেগম। পারুল বেগম আদরের ছোট ভাইয়ের ছবি হাতে নির্বাক বসে আছেন। আর তার চোখ দুটো জলে টলমল করছে। তার পাশে বসা বড় বোন সায়েরা বেগম অঝোরে কাঁদছেন।

সায়েরা বেগম বলেন, ‘৭ লাখ টাকা ধার করে লেবাননে গিয়েছিল আমার ভাই। লেবাননে যে কাজে গিয়েছিল, তাকে সে কাজ দেওয়া হয়নি। নির্ধারিত কাজ না পাওয়ায় তার ভালো উপার্জন ছিল না। তবু অনেক কষ্টে বিদেশে থেকেছে। ১২ বছর ভাইয়ের মুখটা দেখতে পাইনি। কে জানত, ভাইয়ের মৃত্যুর খবর আসবে।’

আরেক বোন পারুল বেগম বলেন, ‘শনিবার লেবাননের বৈরুতের একটি হোটেলে ইসরায়েলের বিমান হামলায় নিজাম মারা যায়। ওই রাতেই তার সঙ্গে থাকা এক বন্ধুর মাধ্যমে নিজামের মৃত্যুর খবর আসে। আমরা স্বপ্নেও ভাবিনি, নিজাম এভাবে আমাদের ছেড়ে চলে যাবে। প্রবাসে চাকরি করে পরিবারে আর্থিক সচ্ছলতা আনতে না পারলেও মায়ের থাকার জন্য নিজাম একটি টিনের ঘর বানিয়েছিল। ঘর বানানোর ৬ মাস পর মা (আনোয়ারা বেগম) মারা যান। বৈধ কাগজপত্র না থাকার কারণে নিজাম দেশেও আসতে পারছিল না। কাগজপত্র ঠিক করে আর কিছুদিন পর দেশে আসার কথা ছিল তার। সরকারের কাছে আমাদের অনুরোধ, দ্রুত নিজামের লাশ দেশে ফিরিয়ে এনে দিক। শেষবারের মতো যেন ভাইয়ের মুখটা দেখতে পারি।’

শামছু মিয়া নামে নিজামের এক প্রতিবেশী জানান, অনেক ধারদেনা করে নিজামকে বিদেশে পাঠানো হয়েছিল। লেবাননে গিয়ে বৈধ কাগজপত্রের কারণে সে তেমন ভালো কোনো কাজ করতে পারেনি। তাই এত বছর বিদেশে থেকেও সে পরিবারে সচ্ছলতা ফেরাতে পারেনি। তাই সরকার যেন এ অসহায় পরিবাররের পাশে দাঁড়ায়। তাহলে নিজামের পরিবার উপকৃত হবে।

এ বিষয়ে কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ শাহরিয়ার মোক্তার জানান, আমাদের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করা হয়েছে। বৈরুতের পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেই নিজামের লাশ দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।


সংবাদটি শেয়ার করুন....