ঢাকামঙ্গলবার , ১২ আগস্ট ২০২৫
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. উৎসব
  5. ঐতিহ্য
  6. কৃষি
  7. ক্যাম্পাস
  8. খেলাধুলা
  9. গণমাধ্যম
  10. চাকরি
  11. জাতীয়
  12. তথ্যপ্রযুক্তি
  13. ধর্ম
  14. নির্বাচন
  15. পরিবেশ

মানুষ তো একা থাকতে পারে না: জয়া

বিনোদন ডেস্ক
আগস্ট ১২, ২০২৫ ১২:৫৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সংবাদটি শেয়ার করুন....

বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান, যিনি দুই বাংলাতেই সমানতালে কাজ করে চলেছেন, সম্প্রতি ব্যক্তিজীবনের এক অজানা তথ্য প্রকাশ করে আলোচনায় এসেছেন। চলচ্চিত্র, নাটক ও মডেলিং-সবক্ষেত্রেই দীর্ঘদিন ধরে সফলতার সঙ্গে পথচলা এই তারকা জানিয়েছেন, তিনি বহু বছর ধরে সম্পর্কে আছেন। জয়ার এমন স্বীকারোক্তিতে যেন অবাক হয়েছেন অনুরাগীরা। গতকাল থেকে জয়ার সম্পর্ক নিয়েই চর্চা চলছে শোবিজ অঙ্গনে।
ঢাকা ও কলকাতার সিনেমায় সমানভাবে সক্রিয় জয়ার ক্যারিয়ার শুরু মডেলিং দিয়ে। এরপর টেলিভিশন নাটকে তাঁর উপস্থিতি দর্শককে মুগ্ধ করে। বড় পর্দায় অভিষেকের পর অভিনয়ে বহুমাত্রিকতা এবং চরিত্র বাছাইয়ের বিচক্ষণতার জন্য পেয়েছেন প্রশংসা। কলকাতার সিনেমায় তাঁর যাত্রা শুরু হয় ‘আবর্ত’ দিয়ে। তারপর একের পর এক সমালোচক প্রশংসিত চলচ্চিত্র উপহার দিয়েছেন-যেমন ‘রাজকাহিনি’, ‘বিসর্জন’, ‘কণ্ঠ’, ‘অর্ধাঙ্গিনী’ প্রভৃতি।

চলতি বছরও তাঁর ব্যস্ততা কমেনি। গত ঈদে ঢাকায় মুক্তি পেয়েছে ‘তাণ্ডব’ ও ‘উৎসব’। এদিকে জুলাই ও আগস্টে কলকাতায় মুক্তি পেয়েছে তাঁর অভিনীত ‘ডিয়ার মা’ এবং ‘পুতুলনাচের ইতিকথা’। নতুন ছবির প্রচারণার অংশ হিসেবে সম্প্রতি কলকাতাভিত্তিক ইউটিউব চ্যানেল ইনডালজ এক্সপ্রেস-এ মুখোমুখি হন তিনি। সেখানে সিনেমার পাশাপাশি উঠে আসে তাঁর ব্যক্তিজীবনের প্রসঙ্গও।

সাক্ষাৎকারে সঞ্চালক সরাসরি প্রশ্ন করেন-জয়া কি সম্পর্কে আছেন? অকপট উত্তর তাঁর, ‘হ্যাঁ, অবশ্যই আছে। মানুষ তো একা থাকতে পারে না। অবশ্যই আছে।’ তিনি জানান, তাঁর সেই বিশেষ মানুষ সিনেমাজগতের কেউ নন। কোনো সচেতন সিদ্ধান্তে সম্পর্ক শুরু হয়নি, কিন্তু সময়ের সঙ্গে তা গড়ে উঠেছে।
নিজেদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে তারা খুব বেশি প্রচার চান না বলেও জানান এই অভিনেত্রী। ‘আমরা দুজনই খুব প্রাইভেট মানুষ, তাই নিজেদের মতো করে থাকার চেষ্টা করি।’

সঙ্গীর কোন গুণটি সবচেয়ে ভালো লাগে-এমন প্রশ্নে জয়া বলেন, ‘সে অনেক শান্ত।’ তখন সঞ্চালক মজা করে বলেন, ‘আপনিও তো শান্ত।’ জয়া হেসে জবাব দেন, ‘হ্যাঁ, হয়তো সে কারণেই তাঁকে পছন্দ করেছি।’

বিয়ে নিয়ে জয়ার অবস্থানও স্পষ্ট। ‘এটা আমি এখনই বলতে পারব না। আমার বিয়ে করার খুব তাড়াতাড়ি ইচ্ছা হবে কিনা, কিংবা আদৌ হবে কিনা-আমি জানি না। তবে বিয়ে করে একসঙ্গে থাকার ধারণাকে আমি শ্রদ্ধা করি, কিন্তু এখনও সিদ্ধান্ত নিইনি।’

তাহলে কি তিনি বিয়ের জন্য প্রস্তুত নন? জয়ার উত্তর, ‘এটা প্রস্তুতির বিষয় নয়। আমার আসলে একটা ভীতি আছে, ভয় কাজ করে।’ এই ভয় কি অতীত সম্পর্কের অভিজ্ঞতার জন্য-এমন প্রশ্নে বলেন, ‘হতেই পারে। আমারও সেটাই মনে হয়।’

প্রসঙ্গত, এর আগেও ব্যক্তিজীবন নিয়ে নানা সময়ে প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছেন জয়া আহসান। ভারতীয় সাময়িকী ফিল্মফেয়ার-এ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিচ্ছেদ প্রসঙ্গে তিনি বলেছিলেন, ‘উত্থান-পতন প্রত্যেক মানুষের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। সেই সময়ে আমার মানসিক অবস্থার পরিবর্তন হয়ে গেল। আমি পুরোপুরিভাবে কাজের দিকে মনোযোগ দিলাম। সাধারণত সেই সময়ে মেয়েরা অনেক কিছু থেকেই বিচ্যুত হয়ে পড়ে, কিন্তু আমার কাজ আমাকে সান্ত্বনা দিয়েছে। আমি কখনোই কাজ থেকে দূরে সরে যাইনি।দুই বাংলার চলচ্চিত্রে তাঁর কাজের স্বীকৃতি এসেছে নানা পুরস্কারে। বাংলাদেশে ‘গেরিলা’, ‘চোরাবালি’, ‘রাজোত্তর’, ‘বিউটি সার্কাস’, ‘বিজয়া’- প্রতিটি চরিত্রই দর্শক ও সমালোচকের প্রশংসা পেয়েছে। কলকাতার চলচ্চিত্রে ‘বিসর্জন’ ও ‘কণ্ঠ’-এর মতো ছবিতে অভিনয় করে সেখানকার পুরস্কারও জিতেছেন।

শুধু অভিনয় নয়, প্রযোজনাতেও যুক্ত হয়েছেন জয়া। হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত ‘দেবী’ ও কবি জীবনানন্দ দাশের জীবনীভিত্তিক ‘ঝরা পালক’ তাঁর প্রযোজনা। চরিত্র বাছাইয়ের ক্ষেত্রে তাঁর সাহসী সিদ্ধান্ত এবং গুণগত মানে আপস না করার মনোভাবই তাঁকে আজকের অবস্থানে এনেছে।

সাক্ষাৎকারের শেষদিকে জয়া জানান, নতুন কিছু সিনেমা ও ওয়েব সিরিজ নিয়ে আলোচনা চলছে। তবে এখনই বিস্তারিত জানাতে চান না। তাঁর ভাষায়, ‘যখন সময় হবে, তখন সবাই জানবে।


সংবাদটি শেয়ার করুন....