আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নতুন সাফল্য অর্জন করেছে বাংলাদেশ। দক্ষিণ কোরিয়ার শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও কেএফএফএ আয়োজিত ১৫তম ই-আইকন ওয়ার্ল্ড কনটেস্টে প্রথম স্থান অর্জন করেছে দুই বাংলাদেশি শিক্ষার্থী।
ঢাকার সেন্ট জোসেফ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী রায়ীন আর রাদ এবং বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী আওসাফ জামান অনম এ প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে সেরা হয়েছেন। গত ৮ আগস্ট দক্ষিণ কোরিয়ার শিক্ষামন্ত্রী তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
প্রতিযোগিতার এবারের মূল বিষয় ছিল জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার ১৩ নম্বর লক্ষ্য—জলবায়ু পরিবর্তন ও এর প্রভাব মোকাবিলা। এর ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা তৈরি করে ‘ক্লাইমাকর’ নামের একটি স্মার্ট অ্যাপ।
প্রকল্পটির নেতৃত্ব দেন আওসাফ জামান অনম, আর ডেভেলপার ছিলেন রায়ীন আর রাদ। তাদের দিকনির্দেশনা দেন সেন্ট জোসেফ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. নাহিয়ান হোসেন।
শুরুতে ৩৭ দেশের ১৬১টি প্রকল্পের মধ্যে থেকে সেরা ১৫টি প্রকল্প নির্বাচিত হয়। এরপর বাংলাদেশ দল কোরিয়ার একটি দলের সঙ্গে মিলে অনলাইনে কাজ চালিয়ে যায়। চূড়ান্ত পর্বে তারা দক্ষিণ কোরিয়ায় গিয়ে সরাসরি উপস্থাপনা ও প্রদর্শনীতে অংশ নেয়। বিচারকদের কাছে তাদের কাজ বিশেষভাবে প্রশংসিত হয়।
দক্ষিণ কোরিয়ার শীর্ষ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান কোরিয়া অ্যাডভান্সড ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (কাইস্ট) অধ্যাপক ড. সানঘে লি বলেন, তরুণদের এমন উদ্যোগ জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বৈশ্বিক সংকট মোকাবিলায় নতুন দিশা দেখাবে। বাংলাদেশের এই সাফল্য প্রশংসনীয়।
কেএফএফএ’র প্রোগ্রাম ম্যানেজার সো-হি লি বলেন, প্রতি বছরই বাংলাদেশ ভালো করছে। তবে এ বছর তাদের উপস্থাপনা ছিল সবচেয়ে স্পষ্ট ও সুসংগঠিত। সত্যিই চমৎকার।
আওসাফ জামান অনম বলেন, প্রতিটি ধাপই ছিল চ্যালেঞ্জিং। আমরা জানতাম আমাদের কাজ প্রযুক্তিগত দিক ছাড়াও মানুষের জীবনে প্রভাব ফেলতে পারে। তাই সর্বোচ্চ মনোযোগ দিয়েছি।
রায়ীন আর রাদ বলেন, অনলাইনে কাজের সময় নানা সমস্যা এলেও দলগত প্রচেষ্টায় তা কাটিয়ে উঠেছি। আন্তর্জাতিক মঞ্চে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে ভীষণ গর্বিত।
