
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচনী আইন সংস্কারে ছয় দফা দাবি তুলে ধরেছে নারীর রাজনৈতিক অধিকার ফোরাম। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠকে এসব দাবি তুলে ধরেন ফোরামের প্রতিনিধিরা। নারী-বিষয়ক সংস্কার কমিশনের সদস্য মাহীন সুলতানের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন নারীপক্ষের নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাদাফ সায, বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্রের সভাপতি সীমা দত্ত এবং নারী সংহতির সভাপ্রধান শ্যামলী শীল।
এ সময় চার নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ, তাহমিদা আহমদ, আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মোহাম্মদ সানাউল্লাহ এবং ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
ফোরামের পক্ষ থেকে বৈঠকে লিখিতভাবে উত্থাপিত ছয় দফা দাবিতে রয়েছে– জাতীয় নির্বাচনে দলগুলোর জন্য ৩৩ শতাংশ নারী প্রার্থীর বাধ্যতামূলক মনোনয়ন, দলীয় কাঠামোতে নারীর নেতৃত্ব, নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যয়সীমার সমপরিমাণ অর্থ মঞ্জুরি, অনলাইন ও অফলাইনে হয়রানি প্রতিরোধে নীতি ও নির্দেশনা, সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনে সরাসরি নির্বাচন এবং সব আসনে ‘না’ ভোট রাখা।
বৈঠক শেষে মাহীন সুলতান সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচন কমিশনও বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছে। ইসির পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও) ২০৩০ সালের মধ্যে ৩৩ শতাংশ নারী প্রতিনিধিত্ব রাখার বিধানটি যুক্ত রাখা হয়েছে বলে জানানো হয়।
তিনি বলেন, সরাসরি নির্বাচনে সাধারণ আসন থেকে আমরা ৩৩ শতাংশ নারী মনোনয়ন চাচ্ছি। নারীর রাজনৈতিক অধিকার ফোরামভুক্ত সংগঠনগুলো হচ্ছে– ক্ষুব্ধ নারী সমাজ, গণসাক্ষরতা অভিযান, দুর্বার নেটওয়ার্ক ফাউন্ডেশন, নাগরিক কোয়ালিশন, নারী উদ্যোগ কেন্দ্র (নউক), নারীগ্রন্থ প্রবর্তনা, নারী সংহতি, নারীপক্ষ, নারীর ডাকে রাজনীতি, ফেমিনিস্ট অ্যালায়েন্স অব বাংলাদেশ (ফ্যাব), বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্র ও ভয়েস ফর রিফর্ম।