
ভোলার মনপুরা উপজেলা দক্ষিণ সাকুচিয়া যুবদলের সাবেক প্রচার সম্পাদক ইসমাইল মুন্সীকে(৩৫) চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেপ্তার করেছে মনপুরা থানা পুলিশ ।
গতকাল শুক্রবার রাতে উপজেলা জনতা বাজার থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার (২রা অক্টোবর) রাতে মনপুরা থানায় জেলে হানিফ রাড়ীর চাঁদাবাজি ও মারধরের শিকার অভিযোগে নোমান মুন্সীসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। অভিযোগে এর ভিত্তিতে মামলা ২নং আসামি ইসমাইল মুন্সী(ইউসুফ) কে আটক করা হয় ।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, প্রতিদিনের ন্যায় মনপুরা সংলগ্ন মেঘনা নদীতে মাছ শিকারের জন্য ভেড়ার খালের সম্মুখে জাল ফেলে মাছ ধরে বিশ্রাম নিচ্ছেন । হঠাৎ করে একটি স্পিড বোট কিছু লোক এসে তাদের কাছাকাছি ভেড়ায়। এবং তারা অতর্কিতভাবে হামলা করে কিল ঘুসি ও লাথি দিয়ে বলে তোদের ট্রলারে অবৈধ হরিণের মাংস এবং বিষ প্রয়োগ করে মাছ ধরার অভিযোগ আছে। নৌকার সকল সদস্যদের কে বন্দি করে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দেখিয়ে নৌকার মাঝি হানিফ রাড়ীর কাছে ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে প্রাণনাশের হুমকি দেয় । এরপর তারা জেলেদের কে মেরে ফেলা হুমকি প্রদান করে নৌকায় থাকায় প্রায় ৫০ হাজার টাকার বাজার মূ্ল্য মাছ ছিনিয়ে নেন।নোমান মুন্সী,ইসমাইল মুন্সী ( ইউসুফ),কিরন ঢালী ও হেলাল এর নেত্বতে নৌকার সদস্য সবায় কে বেঁধে রেখে মাঝিকে নিয়ে আড়দারের কাছে যান চক্রের সদস্য হেলাল । তাদের দেওয়া সদস্যকে সাথে নিয়ে আড়তদার থেকে মামলার বাদি হানিফ বাড়ীর মায়ের অসুস্থতার কথা বলে ৬০ হাজার টাকা নিয়ে এই চক্রের সদস্য হেলাল এর কাছে দেওয়া হয়। টাকা হাতে পাওয়ার পরে তারা স্পিড বোট যোগে ঘটনাস্থ (ভেড়ার খাল ) গিয়ে চরে নৌকার কাছে নামিয়ে দেন মাঝিকে। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় জনগণ মনপুরা থানায় খবর দেয় পরবর্তীতে পুলিশ এসে সকল তথ্য প্রমান সংগ্রহ করে। এরং তাদেরকে উদ্ধার করে মনপুরা থানায় ভর্তি করানো হয়েছে ।
স্থানীরা অভিযোগ করে বলেন, নোমন মুন্সী,ইসমাইল মুন্সী(ইউসুফ) ,মেহেদী হাসান কিরন,হেলাল সহ অজ্ঞাত ৮ থেকে ১০ জন ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর চাঁদাবাজি, মাদকসহ এলাকায় বিভিন্ন ধরণের সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িত রয়েছে। তাদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে পারছেনা। ইউসুফ কে আটকের পর স্থানীদের মাঝে স্বস্তি ফিরে আসছে ।
মনপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান কবির বলেন, চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে সাবেক যুবদল নেতা ইসমাইল মুন্সীকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ মামলায় অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।