
পরীমনি আর সমালোচনা যেন খুবই ওতপ্রোতভাবে জড়িত। কারণ এই ঢালিউড নায়িকা যাই করেন না কেন, তা নিয়েই শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা। এক দশকের ক্যারিয়ারে তাকে নিয়ে নানা গুঞ্জন চাউর হলেও সেসব সমালোচনা একদমই গায়ে মাখেন না তিনি। কাজের বাইরে ব্যক্তিগত জীবন নিয়েই বেশি সমালোচনার মুখে পড়তে দেখা যায় তাকে।
এছাড়াও ব্যক্তি জীবনে নাম জড়িয়েছে একাধিক মামলায়। সব ধাক্কা সামলেও উঠেছেন। তবে পরীর মতে, তার কোনো শত্রু নেই। তিনি কাউকে শত্রুর চোখে দেখেন না।
সম্প্রতি মাছরাঙা টেলিভিশনের ‘বিহাইন্ড দ্য ফেইম উইথ আরআরকে’ অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে এসব কথা বলেন পরীমনি। জেল ও রিমান্ডের সময়ের এক চাঞ্চল্যকর অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন এ চিত্রনায়িকা। মাদক মামলায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর রিমান্ডে তাকে বারবার একটিই প্রশ্ন করা হয়েছিল তিনি কাউকে শত্রু মনে করেন কি না এবং কারও নাম বলতে চান কি না। পরীমণি জানান, একাধিক তদন্তকারী সংস্থা, বিশেষ করে সিআইডি এই প্রশ্নটি বারংবার করেছে।
পরীমনি আরো বলেন, ‘আমি আমার জীবনে কাউকে শত্রুর চোখে দেখতে পারি নাই। যে নামটা আসলে আমি আমার যারা যারা আমাকে জিজ্ঞেস করছে—এই ডিপার্টমেন্টগুলো, তিনটা ডিপার্টমেন্ট মিলে—বিশেষ করে হচ্ছে সিআইডি যখন জিজ্ঞেস করল, ‘আপনি কাউকে শত্রু মনে করেন কিনা? কোনো নাম বলবেন কিনা?’
অভিনেত্রী বলেন, ‘আমাকে যখন রিমান্ডে বারবার জিজ্ঞেস করছিল, তো উনারা শুধু একটা কোশ্চেন করছিল যে আপনার কি শত্রু কাউকে আপনার মনে হয়? কাউকে শত্রু, কারো নাম বলতে চান
তিনি আরও বলেন, ‘আসলে আমার শত্রু আমি বলছি, না, আমার কোনো শত্রু নাই। আমি না আসলে কাউকে শত্রু ভাবতে পারি নাই। কারণ আমি আসলে কারও সাথে মাথা ফাটাফাটি করিনি, গালাগালি করিনি, জমি দখল করিনি, তো আমার কেন শত্রু হবে? শত্রুতা হওয়ার জন্য কারণ থাকে তো।’