
জামায়াতে ইসলামীর এক কর্মসূচিতে দলটির সাবেক এমপি শাহজাহান চৌধুরীর বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়ে তাকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাসদ সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া ও সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান। আজ সোমবার এক যৌথ বিবৃতিতে এ দাবি জানান তারা।
নেতারা বলেন, সম্প্রতি জামায়াতে ইসলামীর এক কর্মসূচিতে দলটির সাবেক এমপি শাহজাহান চৌধুরী প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়েছেন— নির্বাচন ঘিরে পাশের দেশ থেকে বস্তা বস্তা টাকা ও অস্ত্র ঢুকবে। যার যার নির্বাচনী এলাকায় প্রশাসনের যারা আছে, তাদের সবাইকে আমাদের আন্ডারে নিয়ে আসতে হবে। আমাদের কথায় উঠবে, আমাদের কথায় বসবে’— যা শুধু নির্বাচনব্যবস্থার প্রতি চরম ঔদ্ধত্যপূর্ণ চ্যালেঞ্জই নয়, বরং দেশের সংবিধান, সার্বভৌমত্ব, প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি এক ভয়ংকর উস্কানি এবং রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রের প্রকাশ্য স্বীকারোক্তি।
বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ জাসদ দৃঢ়ভাবে মনে করে—এই বক্তব্য কেবল অবৈধ অস্ত্র ও অর্থের রাজনীতি দ্বারা নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বিপর্যস্ত করার হুমকি নয়, বরং দেশের অভ্যন্তরে সন্ত্রাসবাদ, মৌলবাদ ও বিদেশি প্রভাবকে উৎসাহিত করার নীলনকশা। প্রশাসনকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার এই প্রকাশ্য আহ্বান রাষ্ট্রবিরোধী অপরাধ, নির্বাচনবিরোধী ষড়যন্ত্র এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দুর্বল করার অপচেষ্টা।
নেতারা বলেন, আমরা শাহজাহান চৌধুরীর এই বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানাই ও তাকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে রাষ্ট্রদ্রোহ, নির্বাচন ষড়যন্ত্র, অবৈধ অর্থ-অস্ত্র আমদানির হুমকি এবং প্রশাসনকে দুর্নীতির পথে প্ররোচিত করার অভিযোগে দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করছি।
বাংলাদেশ জাসদ নেতারা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গঠিত বাংলাদেশে নির্বাচন হবে জনগণের অংশগ্রহণে, সংবিধানের আলোকে, প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধানে— কোনো বিদেশি অস্ত্র, বস্তা বস্তা টাকা বা দুর্নীতিগ্রস্ত ষড়যন্ত্রের ছায়ায় নয়। নির্বাচনী মাঠে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও বিদেশি শক্তির প্রভাবের স্থান নেই। রাষ্ট্রের আইন, সংবিধান ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে সম্মান না করে যারা উল্টো ষড়যন্ত্রের রাজনীতি করছে, তারা দেশের শত্রু, গণতন্ত্রের শত্রু।
