
বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব ছেড়ে দিলেও পরিচালক পদে রয়ে গিয়েছিলেন নাজমুল হাসান। এবার সেই সম্পর্কটুকুও চুকেবুকে গেল। তার সঙ্গে একইভাবে পরিচালক পদ হারালেন আরও ১০ জন।
বিসিবির পরিচালনা পর্ষদের সভা শেষে বুধবার রাতে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গঠনতন্ত্র অনুযায়ী টানা তিন বা ততোধিক বোর্ড সভায় অনুপস্থিত থাকার কারণে তাদের পরিচালক পদ শূন্য হয়ে গেছে।
নাজমুল হাসান ছাড়াও এই তালিকায় আছেন মঞ্জুর কাদের, আ জ ম নাছির উদ্দিন, শেখ সোহেল, অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল ইসলাম, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, ইসমাইল হায়দার মল্লিক, তানভীর আহমেদ (টিটু), ওবায়েদ রশিদ নিজাম, গাজী গোলাম মোর্তজা ও নাজিব আহমেদ।গত ৫ অগাস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই এই পরিচালকরা আড়ালে আছেন। নাজমুল হাসান লন্ডনে, ইসমাইল হায়দার দুবাইয়ে, এরকম তাদের অনেকেই দেশের বাইরে আছেন বলে জানা গেছে নানা সূত্র থেকে।
এছাড়াও আরও তিন পরিচালক নাঈমুর রহমান, এনায়েত হোসেন সিরাজ ও খালেদ মাহমুদের পদত্যাগপত্র আনুষ্ঠানিকভাবে গৃহীত হয়েছে এ দিনের বোর্ড সভায়।
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কোটায় বোর্ডে আসা পরিচালক জালাল ইউনুস পদত্যাগ করেছেন অনেক আগেই। এই কোটার আরেক পরিচালক আহমেদ সাজ্জাদুল আলমকে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছিল। তিনি তা করেননি। তবে তার মনোনয়ন সরিয়ে নেয় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ।এই দুজনের জায়গায় গত ২১ অগাস্ট জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের মনোনয়নে বিসিবি পরিচালক হন ফারুক আহমেদ ও নাজমুল আবেদীন ফাহিম। সেদিনই জানানো হয় নাজমুলের পদত্যাগের খবর। ফারুক নতুন সভাপতি নির্বাচিত হন সেদিনই।
আগের বোর্ড পরিচালকদের মধ্যে এখনও সক্রিয় আছেন মাহবুব আনাম, আকরাম খান, ফাহিম সিনহা, কাজী ইনাম আহমেদ, শফিউল আলম স্বপন, সালাউদ্দিন আহমেদ, ইফতেখার রহমান ও মঞ্জুর আলম।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে এ দিনের বোর্ড সভায়। বর্তমান বাস্তবতায় বিসিবিকে কার্যকর ও এই সময়ের প্রয়োজন মেটানোর উপযোগী করে তুলতে গঠনতন্ত্র সংশোধনী কমিটি গঠন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। বিসিবি পরিচালক নাজমুল আবেদীনকে এই কমিটির প্রধান করা হয়েছে।প্রশাসনিক এসব সিদ্ধান্তের বাইরে ক্রিকেটীয় দিক থেকে একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। দেশের মূল তিন টেস্ট ভেন্যু ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটে পরিপূর্ণ আধুনিক জিমনেসিয়াম গড়ে তোলার প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে।
এছাড়াও এবারের বিপিএলে পূর্নাঙ্গ ই-টিকেট কার্যক্রম চালু করতে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বোর্ড।