ঢাকাবুধবার , ৮ জানুয়ারি ২০২৫
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. উৎসব
  5. ঐতিহ্য
  6. কৃষি
  7. ক্যাম্পাস
  8. খেলাধুলা
  9. গণমাধ্যম
  10. চাকরি
  11. জাতীয়
  12. তথ্যপ্রযুক্তি
  13. ধর্ম
  14. নির্বাচন
  15. পরিবেশ

ন্যূনতম সম্মান থাকলে ফেলানীর চিকিৎসার ব্যবস্থা করত ভারত: নাগরিক কমিটি

অনলাইন ডেস্ক
জানুয়ারি ৮, ২০২৫ ১২:১৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সংবাদটি শেয়ার করুন....

নানা ছুতোয় বাংলাদেশের নাগরিকদের হত্যা করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। বাংলাদেশের প্রতি দেশটির যদি ন্যূনতম সম্মান থাকত, তাহলে তারা ফেলানীকে নামিয়ে অন্তত চিকিৎসার ব্যবস্থা করত। কয়েক ঘণ্টা কাঁটাতারে ঝুলিয়ে রাখত না।

মঙ্গলবার রাজধানীর শাহবাগে ‘ফেলানী দিবসে সীমান্তে হত্যা ও ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সমাবেশে’ বক্তারা এসব কথা বলেন। জাতীয় নাগরিক কমিটির ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন থানা এ আয়োজন করে। এতে তারা ভারতবিরোধী একাধিক প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।

২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার অনন্তপুর সীমান্তে ফেলানীকে গুলি করে মারে বিএসএফ। সাড়ে চার ঘণ্টা কাঁটাতারে ঝুলেছিল তার লাশ।

সমাবেশে জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, আমাদের সীমান্তের সংকট স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি। ভারতকে বলব, আপনারা নীতি পাল্টান, ন্যায্যতার ভিত্তিতে সম্পর্ক গড়ুন। না হয় ভবিষ্যতে আপনাদের পস্তাতে হবে। তবে আরেকবার বাংলাদেশের মানুষের ওপর বন্দুক ধরলে মানুষও সে বন্দুক চুরমার করে দেবে।

নাগরিক কমিটির সদস্য মশিউর রহমান বলেন, প্রতি বছর আমরা দাঁড়াই, প্রতিবাদ করি। কিন্তু বিচার হয় না। অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে দাবি জানাব, আপনারা ভারতের কাছে সীমান্ত হত্যার বিচার চাইবেন।

অপরাধীদেরও একই শাস্তি চাইলেন বাবা 

‘মেয়ে পানি পানি করে অনেকবার চিৎকার করে আমার সামনে; কিন্তু বিএসএফ পরোয়া করেনি।’ এভাবেই ফেলানীর মৃত্যুর সময়কার ঘটনা স্মরণ করছিলেন তার বাবা নূরুল ইসলাম।

মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীবৃন্দ’ ব্যানারে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

নূরুল ইসলাম বলেন, স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা আমাদের এত চাপে রেখেছে, কারও সঙ্গে কথাও বলতে দেয়নি। তাই নতুন সরকারের কাছে অনুরোধ, ফেলানীকে যেভাবে কষ্ট দিয়ে হত্যা করা হয়েছে, তদন্ত সাপেক্ষে অপরাধীদেরও একইভাবে শাস্তি দেওয়া হোক। এ সময় আরও বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তাহমিদ আল মুদ্দাসির চৌধুরী।


সংবাদটি শেয়ার করুন....