ঢাকারবিবার , ৯ মার্চ ২০২৫
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. উৎসব
  5. ঐতিহ্য
  6. কৃষি
  7. ক্যাম্পাস
  8. খেলাধুলা
  9. গণমাধ্যম
  10. চাকরি
  11. জাতীয়
  12. তথ্যপ্রযুক্তি
  13. ধর্ম
  14. নির্বাচন
  15. পরিবেশ

মস্তিষ্কের সুরক্ষায় ব্যায়াম

লাইফস্টাইল ডেস্ক
মার্চ ৯, ২০২৫ ২:২৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সংবাদটি শেয়ার করুন....

বিষণ্নতা, দুশ্চিন্তা এবং ‘ডিমেনশা’ বা ঘুমের অভাব- এই ধরনের স্নায়ুভিত্তিক মনরোগগুলো হাত থেকে বাঁচতে কর্মক্ষম থাকার কোনো বিকল্প নেই।

“আর মস্তিষ্কের সুরক্ষার জন্য কঠিন বা সাধারণ যে কোনো ব্যায়ামই গুরুত্বপূর্ণ” মন্তব্য করেন চীনের শাংহাইতে অবস্থিত ‘ফুডান বিশ্ববিদ্যালয়’য়ের ‘হুয়াশান হসপিটাল’য়ের গবেষক ডা. জিয়া-য়েই য়ু।

গবেষণায় গড়ে ৫৬ বছর বয়সি ৭৩ হাজারের ওপর অংশগ্রহণকারীর ‘অ্যাকসেলোমিটার’য়ের তথ্যের সাথে শারীরিক কর্মকাণ্ড ও স্নায়ুভিত্তিক-মনোরোগের সম্পর্ক পর্যালোচনা করা হয়।

গবেষণার সারাংশ প্রকাশিত হয় বৃহস্পতিবার, আর সেটা উপস্থাপন করা হবে এপ্রিল মাসে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ‘আমেরিকান অ্যাকাডেমি অফ নিউরোলজি’র বার্ষিক সভায়।

গবেষণাটি পূর্ণাঙ্গ প্রকাশ না পেলেও, এর বিশাল পরিমাণ তথ্যের পর্যালোচনা সম্পর্কে আস্থা প্রকাশ করে সিএনএন ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে নিউ ই্য়র্ক সিটি’র ‘আইকান স্কুল অফ মেডিসিন’য়েল ‘ব্রেইন অ্যান্ড বডি রিসার্চ সেন্টার’য়ের পরিচালক ডা. স্কট রুসো বলেন, “শারীরিক কর্মকাণ্ডের ফলাফল হিসেবে মস্তিষ্কের কার্যকরণ উন্নতিতে ভূমিকা রাখার বিষয়ে এই গবেষণা নির্ভরযোগ্য।”

“এই ক্ষেত্রে, এত তথ্য রয়েছে যে, সবই কার্যকর ও সম্পর্কযুক্ত”- মন্তব্য করেন তিনি।

নানান ধরনের বিষণ্নতা

ডা. রুসো বলেন, “তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, শারীরিক কর্মকাণ্ড বাড়ালে অলস সময়ের মাত্রা কমে। যা ডিমেনশা ও বিষণ্নতার মতো মানসিকরোগের মাত্রা কমে। আর এটা অবাক করার মতো বিষয় নয়।”

অনেক গবেষণায় দেখা গেছে, বিষণ্নতার চিকিৎসায় ওষুধের মতোই কাজ করে ব্যায়াম।

এই চিকিৎসক আরও বলেন, “কেনো শরীরচর্চা সহায়ক হয়, সেটা বোঝার জন্য অন্যান্য গবেষকদের কথা বলতে হবে। তারা অনেকেই মনে করেন, কোনো একটি কারণে বিষণ্নতায় ভোগা হয় না”।

তিনি ব্যাখ্যা করেন, ২০ থেকে ৩০ শতাংশ মানুষ ‘ইমিউনোমেটাবলিক’ কারণে বিষণ্নতার সমস্যায় ভোগনে। এটা হল প্রদাহ ও পরিবর্তিত বিপাক কাযক্রম।

ব্যায়াম বা শরীরচর্চা বিপাক পদ্ধতি নিয়ন্ত্রণ করে, কার্যকারিতা বাড়ায় এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।

যে কারণে রোগীদের অবস্থা উন্নতি হয়।

যে কোনো শারীরিক কর্মকাণ্ডে উপকারী

এই গবেষণার প্রধান বিষয়বস্তু হল- যত কম অলস সময় পার করা যায়, ততই মঙ্গল।

য়ু বলেন, “দৈনিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ক্যালরি পোড়ানো- যেমন হাঁটা বা বাগান করা- এগুলো উল্লেখযোগ্যভাবে মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য সুরক্ষিত রাখে।”

এই ক্ষেত্রে অতি কঠিন ব্যায়াম করতে হবে না। হালকা বা মাঝারি ব্যায়ামও কার্যকর।


সংবাদটি শেয়ার করুন....