ঢাকাবুধবার , ২০ আগস্ট ২০২৫
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. উৎসব
  5. ঐতিহ্য
  6. কৃষি
  7. ক্যাম্পাস
  8. খেলাধুলা
  9. গণমাধ্যম
  10. চাকরি
  11. জাতীয়
  12. তথ্যপ্রযুক্তি
  13. ধর্ম
  14. নির্বাচন
  15. পরিবেশ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ধর্ষকের সঙ্গেই কিশোরীর বিয়ের রায় সালিশে

হাতিয়া প্রতিনিধি
আগস্ট ২০, ২০২৫ ৩:৫৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সংবাদটি শেয়ার করুন....

টানা তিন দিন কিশোরী ফেরেনি বাড়িতে। বহু জায়গায় খোঁজখবর নিয়েও তালাশ পাননি অসহায় মা। পরে মঙ্গলবার মেয়েটি বাড়িতে ফেরে বিধ্বস্ত অবস্থায়। সে জানায়, মসজিদের পাশের একটি কক্ষে আটকে রেখে তাকে ধর্ষণ করেছে তারই মাদ্রাসার এক শিক্ষক। যে শিক্ষক আবার মুয়াজ্জিনও। মঙ্গলবার রাতেই স্থানীয় লোকজন সালিশ বসিয়ে ওই শিক্ষকের সঙ্গেই মেয়েটির বিয়ের সিদ্ধান্ত দেয়।

ঘটনাটি নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নের নামার বাজারের। অভিযুক্ত মাওলানা মোহাম্মদ শাহেদুল ইসলাম ওই ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। নিঝুম দ্বীপ নামার বাজার মহিলা মাদ্রাসায় শিক্ষকতার পাশাপাশি স্থানীয় মসজিদের মুয়াজ্জিনও তিনি। এছাড়া ইসলামী যুব আন্দোলনের ইউনিয়ন কমিটির সদস্য হিসেবেও পরিচিত।

তবে ইসলামী যুব আন্দোলনের ইউনিয়ন কমিটির সহসভাপতি শাহেদ উদ্দিন বলেন, ‘শাহেদুল ইসলাম তিন বছর আগে কমিটির সদস্য ছিলেন। নিষ্ক্রিয় হওয়ায় তাঁকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তিনি যে কাজ করেছেন, তা অন্যায়। আমরা এর বিরুদ্ধে ছিলাম। তবে স্থানীয় গণ্যমান্যরা যে সমাধান করেছেন, এতে আমরা সন্তুষ্ট।’

ভুক্তভোগীর বাবা ৮-১০ বছর ধরে লাপাত্তা। পরিবারের খোঁজ রাখেন না।

অসহায় মায়ের ভাষ্য, ‘তিন দিন পর মঙ্গলবার মেয়ে বাড়িতে ফিরে বিষয়টি আমাকে জানায়। আমরা গরিব মানুষ। মঙ্গলবার রাতে বাজার কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আজাদ হোসেন ও মসজিদ কমিটির সভাপতি মো. শাহাদাত হোসেন, মসজিদের ইমাম মাওলানা মো. ইব্রাহিমের নেতৃত্বে সালিশ হয়। সেখানে হুজুর (শাহেদুল) আমার মেয়েকে বিয়ে করবেন বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।’

নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘মেয়েটির বাবা নেই, পরিবার অসহায়। ঘটনাটি অত্যন্ত লজ্জাজনক। ছেলে রাজি হওয়ায় সবার উপস্থিতিতে ছয় লাখ টাকা কাবিনে বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে।’

এ বিষয়ে মেয়েটির মা বলেন, ‘বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আমিরুল ইসলাম বাবলুসহ অনেকের সামনে ওই শিক্ষক সব দায় স্বীকার করেছেন। মেয়েকে বিয়ে করতে রাজি হয়েছেন। এ কারণেই আমি ও মেয়ে বিয়েতে মত দিয়েছি। পরে সামাজিকভাবে মসজিদেই বিয়ে হয়।’

নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়ন পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ সুজন লোকমুখে বিষয়টি শুনেছেন। এ বিষয়ে লিখিত বা মৌখিক কোনো অভিযোগ পাননি।


সংবাদটি শেয়ার করুন....