ঢাকারবিবার , ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. উৎসব
  5. ঐতিহ্য
  6. কৃষি
  7. ক্যাম্পাস
  8. খেলাধুলা
  9. গণমাধ্যম
  10. চাকরি
  11. জাতীয়
  12. তথ্যপ্রযুক্তি
  13. ধর্ম
  14. নির্বাচন
  15. পরিবেশ

বাবা-মায়ের অলসতা আসতে পারে সন্তানের ওপর

অনলাইন ডেস্ক
ডিসেম্বর ১৫, ২০২৪ ৭:২৮ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

সংবাদটি শেয়ার করুন....

প্রত্যেক বাবা-মা চান তাদের সন্তান ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে উঠুক। সেজন্য তারা নিজেদের কিছু অভ্যাসেও পরিবর্তন আনেন, যাতে সে অভ্যাসের প্রভাব সন্তানদের ওপর না পড়ে। কারণ সন্তানরা নিজের বাবা-মায়ের থেকেই অনেক কিছু তাদের অজান্তেই শিখে ফেলে। বাবা-মায়ের আচরণ, ভালো বা খারাপ অভ্যাস ইত্যাদি সরাসরি প্রভাব পড়ে সন্তানের ওপর। তবে অনেক সময় বাবা-মায়ের অজান্তেই এমন অভ্যাস গ্রহণ করেন, যা শিশুদের অলস করে তুলতে পারে।

বাবা-মায়ের কিছু অভ্যাসের কারণে সন্তানরা পরিশ্রমী ও দায়িত্বশীল হওয়ার পরিবর্তে অলস হয়ে পড়ে। বাবা-মায়ের অভ্যাস সন্তানদের ব্যক্তিত্ব গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তারা চেষ্টা করেন যাতে সন্তানের ওপর সে প্রভাব না পড়ে, তবুও মাঝেমধ্যে অজান্তেই সন্তান সেসব অভ্যাসে অভ্যস্ত হয়ে উঠে।

 

অভিভাবকরা যদি সজাগ থাকেন এবং তাদের সন্তানদের শৃঙ্খলা, কঠোর পরিশ্রম ও দায়িত্ব শেখান, তবে তারা অলস হওয়ার পরিবর্তে পরিশ্রমী ও আত্মনির্ভরশীল হয়ে উঠবে। আসুন জেনে নেওয়া যাক, কী সেই অভ্যাসগুলো, যা শিশুদের অলস করে দিতে পারে। সঙ্গেই জানবেন, কীভাবে এই সমস্যা এড়ানো যায়।

সমস্যা সমাধানে তাদের সুযোগ দেওয়া

অভিভাবকরা প্রায়শই তাদের সন্তানদের ছোট-বড় প্রতিটি সমস্যার সমাধান নিজেরাই খুঁজে বের করে দেয়।যদি বাবা-মায়েরা সন্তানদের স্কুলের প্রকল্প থেকে শুরু করে দৈনন্দিন কাজ পর্যন্ত সবকিছুতে হস্তক্ষেপ করে, তবে শিশুরা নিজেরা কিছুই করতে শিখতে পারবে না। এই অভ্যাস ধীরে ধীরে তাদের অলস করে তোলে। তাই বাবা-মায়ের সব বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা এড়িয়ে চলা উচিত। সন্তানদের নিজেদের সমস্যা সমাধানের সুযোগ করে দিন। প্রয়োজনে নির্দেশনা দিতে পারেন, তবে তাদের সমস্ত কাজ নিজে করবেন না।

দায়িত্ব দেওয়া

অনেক সময় সন্তানরা বাড়ির কোনো কাজের দায়িত্ব নিতে চায় না। এতে তারা অলস হয়ে যেতে পারে। বাবা-মায়েরা ভাবেন, সন্তানরা এখন ছোট এবং তাদের দায়িত্ব দেওয়ার দরকার নেই। কিন্তু এই ধারণা আপনার সন্তানের অভ্যাস নষ্ট করতে পারে। তাই সন্তানদের বয়স অনুযায়ী ছোট ছোট কাজের দায়িত্ব দিন। যেমন খেলনা তোলা, জামাকাপড় গুছিয়ে রাখা, টেবিল সেট করা। এসব কাজের মাধ্যমে তারা দায়িত্বের গুরুত্ব বুঝতে পারবে।

বিনোদনের সময় সীমিত করা

মোবাইল, টিভি বা গেমের মতো জিনিসের অতিরিক্ত সহজলভ্যতা আপনার সন্তানকে অলস করে তোলে। এতে শারীরিক কার্যকলাপ থেকে দূরে থাকে এবং স্ক্রিনে সময় কাটাতে শুরু করে। এজন্য সন্তানদের বিনোদনের সময় সীমিত করতে হবে। পাশাপাশি তাদের খেলাধুলা বা অন্যান্য সৃজনশীল কাজে জড়িত করুন।

নিজেরা পরিশ্রম করা

সন্তানরা তাদের মা-বাবাকে যা করতে দেখে তাই শেখে। এক্ষেত্রে অভিভাবকরা নিজেরাও অলস হলে তা সন্তানদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। তাই অভিভাবকদের নিজেদেরও সক্রিয় হতে হবে। কঠোর পরিশ্রম, সময়ের জ্ঞান ইত্যাদি বিষয় প্রদর্শন করুন, যাতে সন্তানরা অনুপ্রাণিত হয়।

তাদেরও পরিশ্রম করান

অনেক অভিভাবক তাদের সন্তানরা কিছু চাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তা দিয়ে ফেলে। এই আচরণ সন্তানদের মধ্যে কঠোর পরিশ্রম ও ধৈর্যের অভাব সৃষ্টি করে। তারা মনে করে, কোনো প্রচেষ্টা ছাড়াই সবকিছু অর্জন করা সম্ভব। তাই সন্তানদের শেখান যে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে সবকিছু অর্জন করা যায়। তাদের একটু অপেক্ষা করার এবং কঠোর পরিশ্রম করার অভ্যাস করুন।

সূত্র : বোল্ডস্কাই


সংবাদটি শেয়ার করুন....