ঢাকাবুধবার , ৯ জুলাই ২০২৫
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. উৎসব
  5. ঐতিহ্য
  6. কৃষি
  7. ক্যাম্পাস
  8. খেলাধুলা
  9. গণমাধ্যম
  10. চাকরি
  11. জাতীয়
  12. তথ্যপ্রযুক্তি
  13. ধর্ম
  14. নির্বাচন
  15. পরিবেশ

এশিয়ার মার্কিন মিত্রদের মধ্যে ক্ষোভ-হতাশা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
জুলাই ৯, ২০২৫ ১:৩২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সংবাদটি শেয়ার করুন....

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন শুল্ক হুমকিতে এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র দেশগুলো হতাশা প্রকাশ করেছে। একই সঙ্গে তারা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দিয়েছে। দেশগুলো ট্রাম্পের সিদ্ধান্তকে অবিশ্বাসমূলক পদক্ষেপ হিসেবে দেখছে। এরই মধ্যে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জোট আসিয়ানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলন শুরু হয়েছে। সম্মেলনের উদ্বোধনী বক্তব্যে বুধবার মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম সতর্ক করে বলেছেন, বিশ্বব্যাপী বাণিজ্যকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।

মার্কিন শুল্ক আরোপের হুমকি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার জোটটিকে ক্ষুব্ধ করেছে। আনোয়ার ইব্রাহিম বলেন, আসিয়ান দেশগুলোকে আন্তঃবাণিজ্য বৃদ্ধি, আঞ্চলিক একীকরণে বিনিয়োগ এবং বাইরের শক্তির ওপর কৌশলগত নির্ভরতা কমাতে হবে।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও আজ আলোচনায় যোগ দেবেন। মালয় ইউনিভার্সিটির পররাষ্ট্র, কৌশল ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক কলিন্স চং ইউ কিট বলেন, মার্কিন নিরাপত্তা ছাতা ব্যবহার বন্ধ করে আসিয়ান দেশগুলোর উচিত অর্থনৈতিকভাবে চীনের দিকে ঘনিষ্ঠ হওয়া।

পলিটিকো জানায়, ট্রাম্পের চিঠি পাওয়ার পর এশিয়ার দেশগুলোর কর্মকর্তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এক কর্মকর্তা বলেন, ট্রাম্পের চিঠির ব্যাপারে আগে থেকে তাদের সতর্ক করা হয়নি। কূটনৈতিক নীতি অনুসরণ করা হয়নি। তাদের শঙ্কা, ট্রাম্পের পদক্ষেপ এই অঞ্চলের দেশগুলোর সঙ্গে দেশটির দীর্ঘদিনের সম্পর্ক নষ্ট করতে পারে।

ওবামা প্রশাসনের সময় আসিয়ানবিষয়ক মার্কিন রাষ্ট্রদূত স্কট মার্সিয়েলও বিষয়টি নেতিবাচকভাবে দেখছেন। যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপ এখানে বড় সমস্যা তৈরি করতে পারে। চীনের কর্মকর্তারা বলেছেন, স্পষ্টতই ট্রাম্পের শুল্কের কারণে আসিয়ান দেশগুলোতে ভীতি তৈরি হয়েছে। বেইজিং তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসার তাগিদ অনুভব করছে। শুল্ক আরোপে দক্ষিণ কোরিয়াও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। জাপান ট্রাম্পের সিদ্ধান্তকে দুঃখজনক হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।

মঙ্গলবার চিঠি পাওয়া দেশগুলোর মধ্যে ৬টিই আসিয়ানের সদস্য। দেশগুলো হলো– থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া, মিয়ানমার, ইন্দোনেশিয়া, লাওস ও মালয়েশিয়া। আসিয়ানের অন্য চারটি দেশ হলো- ব্রুনাই, ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন ও সিঙ্গাপুর।

বিবিসি জানায়, ট্রাম্প বলেছেন, অন্যান্য দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশকারী তামার ওপর ৫০ শতাংশ নতুন কর আরোপ করা হবে। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ অনুসারে, গত বছর যুক্তরাষ্ট্র প্রায় ৮ লাখ ১০ হাজার টন পরিশোধিত তামা আমদানি করে, যা তাদের ব্যবহৃত তামার প্রায় অর্ধেক। চিলি ছিল সবচেয়ে বড় সরবরাহকারী, তার পরই কানাডা।

রয়টার্স জানায়, চলতি বছর এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র প্রায় ১০০ বিলিয়ন বা ১০ হাজার কোটি ডলার শুল্ক আয় করেছে। ট্রাম্পের নতুন শুল্কের কারণে ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ এই আয় ৩০০ বিলিয়ন বা ৩০ হাজার কোটি ডলারে উঠতে পারে।

জার্মানির চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্জ গতকাল বলেছেন, ট্রাম্পের হুমকির মুখে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বর্ধিত শুল্ক এড়াতে একটি চুক্তির সম্ভাবনা সম্পর্কে ‘সতর্কতার সঙ্গে আশাবাদী’।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং বলেছেন, ইউরোপীয় পক্ষ বুঝতে পারবে চীন-ইইউ অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সম্পর্ক ভারসাম্যপূর্ণ করা দরকার।


সংবাদটি শেয়ার করুন....