ঢাকাশনিবার , ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. উৎসব
  5. ঐতিহ্য
  6. কৃষি
  7. ক্যাম্পাস
  8. খেলাধুলা
  9. গণমাধ্যম
  10. চাকরি
  11. জাতীয়
  12. তথ্যপ্রযুক্তি
  13. ধর্ম
  14. নির্বাচন
  15. পরিবেশ

ভূমি অফিস এবং ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় ক্যাডারদের হুমকি ও চাঁদাবাজির শিকার সজিব ও তার পরিবার

নিজস্ব প্রতিবেদন
ডিসেম্বর ২৩, ২০২৩ ১:৩৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সংবাদটি শেয়ার করুন....

রাইসুল ইসলাম চৌধুরী, ফ্রিল্যান্স রিপোর্টার: ২০০১ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত টিআই জরিপে বাংলাদেশ টানা পাঁচ বার বিশ্বের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্থ দেশ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল অনুযায়ী বাংলাদেশ বর্তমান রেঙ্কিং (২০২৩) ১৮০টি দেশের মধ্যে ১৪৯তম। তাই বাংলাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে বেশি দুর্নীতিগ্রস্থ দেশ গুলোর একটি। এমনকি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, যাদের দায়িত্ব মানুষকে রক্ষা করা তারাও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। বাংলাদেশের অন্যতম দুর্নীতিগ্রস্থ মন্ত্রণালয় হল ভূমি মন্ত্রণালয়। এ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সব ভূমি নিবন্ধন অফিসই ব্যাপক ভাবে দুর্নীতিগ্রস্থ। এ নিয়ে বহু সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এমনকি বর্তমান সরকার ও বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের কিছু মন্ত্রীও এ দাবি মেনে নিয়েছেন। অনেক দিন ধরেই ভূমি রেজিষ্ট্রেশন অফিসের ফাঁদ, ঘুষ, জাল সাক্ষ্য ইত্যাদি নানা অপরাধের শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।

সজিব হোসেন এবং তার পরিবারের মতো কিছু ক্ষেত্রে, অবৈধ ভাবে জমি দখলের জন্য ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় ক্যাডারদের সহায়তায় ঢাকা ল্যান্ড রেজিস্ট্রেশনর অফিসের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে পরিবারগুলোকে মৃত্যুর হুমকি এবং নির্যাতনের ভয় দেখানো হচ্ছে। ঢাকার তেজগাঁওয়ে একটি লাভজনক জমির (বর্তমান মূল্য ১০ কোটি বা তার বেশি) মালিক হওয়ার কারণে সজিব হোসেন ও তার পরিবার ভূমি নিবন্ধন অফিসের ব্যাপক দুর্নীতিগ্রস্থ কর্মচারী এবং বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডারদের টার্গেটের শিকার হচ্ছেন। সজিবের বাবা বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় নেতার কাছে তার জমি বিক্রি করতে অস্বীকার করলে স্বার্থের সংঘাত ঘটে। উমেদার বাবু হাওলাদার ও ঢাকা ভূমি রেজিষ্ট্রেশন অফিসের আরেক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় কয়েকজন ক্যাডার ও তাদের অনুসারীরা সজিব হোসেন এবং তার পরিবারের স্বাভাবিক জীবনকে নরকে পরিণত করেছে।

বাবু হাওলাদারের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে এই কমপ্লেক্সে জমি রেজিষ্ট্রেশন, দলিল সম্পাদন, জালিয়াতি, রেকর্ড অনুসন্ধান, সংশোধন, জমির শ্রেণি পরিবর্তন সহ বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগ রয়েছে, এছাড়াও ও জমির শ্রেণি পরিবর্তনের বিনিময়ে অর্থগ্রহণ এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে মানুষকে হয়রানির অভিযোগ রয়েছে। “উমেদারদের গডফাদার” নামে পরিচিত বাবু হাওলাদার ঢাকা ভূমি রেজিষ্ট্রেশন অফিসের আরেক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় কয়েকজন ক্যাডারদের সাহায্যে পরিকল্পিত ভাবে সজিবদের পরিবারকে বøাকমেইল করে অবৈধ উপায়ে তাদের জমি দখলের ঘৃণ্যচেষ্টা করছে। সজিবদের পরিবার সরকার বিরোধী আন্দোলনে জড়িত এবং জনগণের কাছে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে, যাতে তারা আগামী নির্বাচনে হেরে যায়। এই সমস্ত মিথ্যা তকমা লাগাচ্ছে। ভূমি রেজিষ্ট্রেশন অফিস ও স্থানীও ক্যাডারদের মধ্যে তাদের বিরোধ নিষ্পত্তি করতে ব্যাপক অবৈধ অনুদান চাওয়া হয়েছে, যা সম্পূর্ণ ভাবে আইন বিরুদ্ধ। দুর্ভাগ্যবশত, স্থানীয় পুলিশ, যারা ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের দ্বারা প্রবল ভাবে পক্ষপাত দুষ্ট, তারা উপশমকারীর পরিবর্তে, শাস্তি দাতা হিসেবে কাজ করেছে। এই জমিসংক্রান্ত বিষয়ে সজিবের বাবা প্যানিক এট্যাকের কারণে ষ্ট্রোক করেছিলেন। তাদের পরিবার, তাদের জমি বাঁচানোর কোনো উপায় খুঁজে পাচ্ছেনা। অনেক সময় ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডাররা যদি কোনো জমি চায়, তাহলে তারা সেটাকে যে কোনো উপায়ে হাসিল করার চেষ্টা করে। যেমন বলপ্রয়োগ করে, ভিকটিমকে খুব কম অর্থ প্রদান করে, জালিয়াতি, জাল দলিল, জাল মামলা, পুলিশের কাছে জাল জিডি ইত্যাদি। অন্য পক্ষকে সরকার বিরোধী কর্মকান্ডে দায়ী করা, ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডারদের এবং রাজনৈতিক ভাবে পক্ষপাত দুষ্ট আইনপ্রয়োগকারীর সংস্থার অন্যতম হাতিয়ার। যখন তারা কোনো ব্যক্তিকে টার্গেট করে, স্থানীয় ক্যাডাররা পুলিশের সাথে যোগাযোগ করে কিছু সময় তারা নিজেরাই ভিকটিমদের বাড়িতে ভুয়া পোস্টার ও লিফলেট লাগিয়ে সরকার বিরোধী অপরাধের প্রমাণ হিসেবে পেশ করে।

স্থানীয় পুলিশ সজিব ও তার বাবাকে “গণতন্ত্র মঞ্চের” এর সাথে জড়িত থাকার জন্য দায়ী করেছে, যা একটি সরকার-বিরোধী জোট। কিন্তু, তারা কোনো প্রমাণ দেখায়নি বরং তাদের বলেছিল শহর ছেড়ে না যেতে, যদিও তারা স্থানীয় ক্যাডার ও উমেদার বাবু হাওলাদারের কাছ থেকে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। সজিব পরিবারের আইনজীবী বন্ধুর পরামর্শে, তারা ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় ক্যাডারদের বিরুদ্ধে তাদের জমিতে অনুমতি না নিয়ে অস্থায়ী নির্বাচনী প্রচার কার্যালয় স্থাপনের অভিযোগ করতে স্থানীয় থানায় জিডি করতে যান। পক্ষপাত দুষ্ট পুলিশ কর্মকর্তা জিডি নিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে এ কাজে সহযোগিতা করার কথা বলেন। শাসক দলের ক্যাডারদের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ করার এই উদ্যোগের জন্য সজিব ও তার পরিবার এখন শারীরিক আক্রমণ এবং আরও ভয়ানক কোনো পরিণতির আশংকা করছে।

স্বাধীন গণতান্ত্রিক দেশের নাগরিক হিসেবে এ ধরনের কর্মকান্ড মোটেই আশা করা যায় না। এটা আমাদের সাংবিধানিক ও মানবিক অধিকারের পরিপন্থী। আমরা এই বেআইনি কার্যকলাপের বীব্র প্রতিবাদ জানাই এবং আশা করি যথাযথ কর্তৃপক্ষ এই ঘটনার তদন্ত করবে এবং সেই সাথে ঢাকা ভূমি নিবন্ধন অফিস এবং স্থানীয় ক্যাডারদের যারা দুর্নীতি ও ব্যাকমেইললিং করে জমি দখলের জন্য সজিব ও তার বাবাকে হুমকি দিচ্ছে তাদের গ্রেফতার করবে।


সংবাদটি শেয়ার করুন....