ঢাকাবুধবার , ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. উৎসব
  5. ঐতিহ্য
  6. কৃষি
  7. ক্যাম্পাস
  8. খেলাধুলা
  9. গণমাধ্যম
  10. চাকরি
  11. জাতীয়
  12. তথ্যপ্রযুক্তি
  13. ধর্ম
  14. নির্বাচন
  15. পরিবেশ

জেলে তালিকা সংশোধন জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্থ জেলেদের বিকল্প আয়ের সুযোগ সৃষ্টির আহবান

তজুমদ্দিন প্রতিনিধি ।
ডিসেম্বর ২৫, ২০২৪ ১১:৫৯ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

সংবাদটি শেয়ার করুন....

জলবায়ু বিপদাপন্ন ও ক্ষতিগ্রস্থ উপকূলীয় জলেদেরে টেকসই আর্থসামাজিক উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন উপকূলীয় ক্ষুদ্র জেলে সম্প্রদায় ও স্থানীয় নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। তারা বলেন, সরকারে উন্নয়ন পরিকল্পনায় ক্ষতিগ্রস্থ এই জনগোষ্ঠীর সুরক্ষায় ও তাদের জীবনমান উন্নয়নে এখন পর্যন্ত কার্যকর কোন পদক্ষেপ দেখতে পাইনি। ক্ষুদ্র জেলেদের অভিযোগ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে তাদের জীবিকার ধরণ বদলে যাচ্ছে, ঘন ঘন দুর্যোগের কারণে এখন আর বেশি সময় মাছ ধরতে পারছে না, দুর্যোগ সম্পর্কিত পর্যাপ্ত ও বাস্তবসম্মত জ্ঞান, দক্ষতা এবং প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি না থাকায় প্রায় তারা সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে ঝুঁকিতে পড়ছে মহাজন নিয়ন্ত্রিত স্থানীয় বাজারে মাছ বিক্রি করতে বাধ্য হওয়ায় লাভজনক মূল্যপ্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
আজ ২৪ ডিসেম্বর কোস্ট ফাউন্ডশেন র্কতৃক আয়োজিত ভোলা জেলার লালমোহন উপজেলার অফিসার্স ক্লাব সভা কক্ষে অনুষ্ঠতি “জলবায়ু বিপদাপন্ন উপকূলীয় জেলে সম্প্রদায় সরকারি সুরক্ষা সেবায় প্রবেশাধিকার ও চ্যালঞ্জে র্শীষক সেমিনারে বক্তারা এই সব কথা তুলে ধরেন, কোস্ট ফাউন্ডেশনের এম.এ. হাসানের সঞ্চালনায় ও ফরাসগঞ্জ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান, জনাব আলহাজ্ব আবুল বসার সেলিম-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন লালমোহন উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা আলী আহমদ আখন, এছাড়াও ক্ষুদ্র জেলে সম্প্রদায়ের প্রতনিধি, ট্রলার মালিক সংগঠন, ক্ষুদ্র জেলে সংগঠন, কিশোরী প্রতিনিধিসহ অন্যানরা উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা তাদের বক্তব্যে দরিদ্র-পীড়িত ও জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ এই জনগোষ্ঠীর সুরক্ষায় সরকারের কাছে বিভিন্ন সুপারশি তুলে ধরেন তার মধ্যে চলমান প্রক্ষোপটে অবরোধকালীন সময়ে জেলে পরিবার গুলোকে যে খাদ্য সহায়তা দেয়া হচ্ছে তা প্রয়োজনের তুলনায় নিতান্তই সামান্য এ দিয়ে পরিবারে দিন চলেনা, তাই মাছধরা নিষিদ্ধকালীন সময়ে ক্ষতিপূরণ হিসেবে মাসিক ভাতা হিসেবে নুন্যতম প্রতি জেলে পরিবারের জন্য ৮০০০ টাকা বরাদ্দ করা, বর্তমান তালিকায় বিদমান ত্রুটি-বিচ্যুতিগুলো সংশোধন করা, জেলেদের সহজ শর্তে ব্যাংক ঋণ, বীমায় জরুরী ভিত্তিতে অন্তভূক্ত করা, সকল প্রকার মাছ ধরার ট্রলারগুলোকে নিবন্ধনের আওতায় আনা এবং নিয়মানুযায়ী প্রয়োজনীয় ও র্পযাপ্ত সুরক্ষা সামগ্রী নিশ্চিত করা, ভূমিহীন জেলে পরবিারগুলোকে সরকারি খাস জমিতে র্পুনবাসতি করা ও আর্দশ জেলে পল্লী তৈরি করার মাধ্যমে মৌলিক সেবা শিক্ষা,স্বাস্থ্য, সুপেয় পানি ও পয়: নষ্কিাশন ইত্যাদ নিশ্চিত করা, জেলে পরিবারগুলোর জন্য আয় বৃদ্ধিমূলক দক্ষতা উন্নয়ন প্রশক্ষিন আয়োজন করা এবং প্রশক্ষিন শেষে উপকরণ সরবরাহ করা, র্দুঘটনা হ্রাসে আবহাওয়া সংবাদ জেলেদের কাছে পৌছানোর জন্য আধুনিক প্রযুক্তি ও সরঞ্জামাদি সরবরাহ এবং ব্যবহারে জেলেদের সক্ষমতা ও দক্ষতা বৃদ্ধির উদ্যোগ গ্রহণ করা ইত্যাদ। প্রধান অতথিরি বক্তব্যে আলী আহমদ আখন বলনে, সরকারি ভাবে ট্রলার নিবন্ধনের কার্যক্রম শুরু হয়েছে, ত্রুটিপূর্ণ জেলেদের তালিকা সংশোধন করা, ঝুঁকিপূর্ণ ও ফিটনেসবিহীন ট্রলারগুলোর তালিকা তৈরি করা এবং সকল মাছ ধরার ট্রলারগুলোকে নিবন্ধনের আওতায় অতিদ্রæত আনা হবে, কোন নিবন্ধিত জেলে সরকারি সহায়তা না পেলে সাথে সাথে উপজেলা প্রশাসনকে অবহতি করার আহবান জানান তিনি। জেলে পরিবারে মেয়েদের বাল্যবিবাহের হার বেশি, জেলেদের কোনো অবস্থায় কিশোরীদের বাল্যবিবাহ না দেয়ার আহব্বান জানান।

অনুষ্ঠানের সভাপতির বক্তব্যে আলহাজ্ব আবুল বসার সেলিম বলেন, যে কোনো ধরণের প্রভাবমুক্ত হয়ে আমাদের প্রকৃত জেলেদরে তালিকা তৈরি করতে হবে, যার জাল আছে সাগর বা নদীতে মাছ ধরতে যায় তাদরে র্অন্তভুক্ত করতে হব। জেলেদের জন্য বিনা সুদে ঋণের ব্যবস্থা করতে হবে, সরকারি অনেক খাস জমি আছে সেখানে আর্দশ জেলে পল্লী তৈরি করতে হবে, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, স্যানিটেশন সেবা নিশ্চিত করতে হবে। তাদের জন্য টেকসই র্পূণবাসন প্রক্রিয়া গ্রহণ করতে হবে।


সংবাদটি শেয়ার করুন....