ঢাকাশুক্রবার , ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. উৎসব
  5. ঐতিহ্য
  6. কৃষি
  7. ক্যাম্পাস
  8. খেলাধুলা
  9. গণমাধ্যম
  10. চাকরি
  11. জাতীয়
  12. তথ্যপ্রযুক্তি
  13. ধর্ম
  14. নির্বাচন
  15. পরিবেশ

বাস্তুচ্যুত পরিবারের পুনর্বাসনে অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি মৌলিক চাহিদাপূরণে অগ্রাধিকার দেয়ার আহবান

তজুমদ্দিন প্রতিনিধি
ডিসেম্বর ২৭, ২০২৪ ১২:৫৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সংবাদটি শেয়ার করুন....

স্থানীয় জলবায়ু বাস্তÍচ্যুতি ব্যবস্থাপনা ও পুনর্বাসন প্রক্রিয়া শক্তিশালীকরণের দাবী জানিয়েছে স্থানীয় বাস্তুচ্যুত ও স্থানীয় নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিগন। তারা বলেন, তজুমদ্দিন উপজেলার বাস্তুচ্যুত পরিবার বিশেষ করে চরাঞ্চলের আশ্রয়নে বসবাসরত পরিবারগুলোর জন্য সমন্বিত বাস্তুচ্যুতি ব্যবস্থাপনা ও পুনর্বাসন প্রক্রিয়া শক্তিশালী করা জরুরি। কারন ভোলা জেলার তজুমদ্দিন উপজেলা নদীভাঙ্গনের ফলে দিন দিন সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে, মানুষগুলো প্রতিনিয়ত স্থান্তরিত হচ্ছে।
আজ ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪ কোস্ট ফাউন্ডেশন আয়োজনে তজুমদ্দিন উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে “সমন্বিত স্থানীয় জলবায়ু বাস্তুচ্যুত ও পুনর্বাসন প্রক্রিয়া শক্তিশালীকরণ” শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন ও সঞ্চালনা করেন কোস্ট ফাউন্ডেশনের প্রজেক্ট হেড, এম.এ হাসান, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তজুমদ্দিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শুভ দেবনাথ এবং সভাপত্বি করেন তজুমদ্দিন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ সেলিম মিয়া। এছাড়াও তজুমদ্দিন প্রেসক্লাবে আহবায়কসহ, নাগরিক সমাজ, এনজিও প্রতিনিধি, সাংবাদিক, ও বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন ও তাদের তাৎপর্যপূর্ণ মতামত ব্যক্ত করেন। গত ৫৩ বছরে যেমন ভোলার আয়তন হয়েছে অর্ধেক কমেছে ১৯৬০ সালে ৬ হাজার ৪০০ বর্গ কি:মি: থেকে বর্তমানে ৩ হাজার ৪০০ কিমি।

তেমনি তজুমদ্দিন উপজেলার বড় মলংচরা সম্পূর্ণ, সোনাপুর ও চাচড়া ইউনিয়নের সিংহভাগ ও চাঁদপুরের ১ ও ৬নং ওয়ার্ড নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। যার ফলে ইতিমধ্যে তজুমদ্দিন উপজেলার ৩০-৪০% ভূমি যেমন নদীগর্ভে বিলিন হয়েছে, ফলশ্রুতিতে বাস্তুচ্যুত হয়েছে অসংখ্য পরিবার। বাস্তুচ্যুত পরিবারের জন্য নির্মিত আশ্রয়ন প্রকল্প ও গুচ্ছগ্রামে নেই পর্যাপ্ত অন্যান্য সুযোগ সুবিধা বিশেষ করে বিদ্যুৎ, পানি ও রাস্তাঘাটের সমস্যা প্রকট, ইতিমধ্যে অনেকগুলোর গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে, যার সংস্কারের উদ্যোগ জরুরি। অনেক গুলো আশ্রয়ন প্রকল্প এমন স্থানে নির্মাণ করা হয়েছে, যেখান থেকে মানুষগুলোর কর্মসংস্থানের কোনো সুযোগ নেই, ফলে অধিকাংশ ঘরগুলো খালি পড়ে রয়েছে, তাই আগামীতে আশ্রয়ন প্রকল্পগুলো নির্মানে যথার্থ স্থান নির্বাচন জরুরি এবং প্রকৃতপক্ষে যারা আবাসনে গিয়ে বসাবস করবে তাদেরকেই ঘরগুলো প্রদান কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।

বেশিরভাগ আবাসন এলাকা কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না থাকায় সেখানকার শিশুগন কোনো ধরনের শিক্ষার সুযোগ পাচ্ছে না। চরাঞ্চলের আবাসন গুলোতে মৌলিকা চাহিদা পূরণের তেমন কোনো সুযোগ নেই, সামাজিক নিরাপত্তা সমস্যাও রয়েছে, তাই প্রয়োজন স্থানীয় সমন্বিত পরিকল্পনা।
প্রধান অতিথি জনাব শুভ দেবনাথ বলেন, বৈশি^ক জলবায়ু পরিবর্তনের কারনে দিন দিন বাস্তুচ্যুতির হার বাড়ছে, আগামীতে এ সমস্যা আরও প্রকট আকার ধারণ করবে। তাই আমাদের বাস্তুচ্যুত মানুষের জন্য সরকার অনেক ধরণের উদ্যোগ গ্রহন করেছে, সরকার বাস্তুচ্যুত পরিবারের জন্য আবাসন করছে। আগামীতে বাস্তুচ্যুত পরিবারের পুর্নবাসনে সমন্বিত উদ্যোগে সরকারের সাথে নাগরিক সমাজকের ভ‚মিকা রাখার আহব্বান জানাচ্ছি।


সংবাদটি শেয়ার করুন....