প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা মহোদয় তো ঘোষণা দিয়েছেনই যে, মিনিমাম সংস্কার করা হলে, এ বছরের শেষের দিকে নির্বাচন আর সংস্কার যদি সত্যিকার অর্থে করতে হয়, তাহলে পরের বছরের জুন মাস এসে যাবে। আমরা উনার বক্তব্যের আলোকে প্রস্তুতি নিয়ে রাখছি।
রোববার (২৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদারের সাথে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি এ কথা বলেন। সিইসি বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটার তালিকায় যুবকদের আনতে চাই। যুবকদের ভোটার তালিকায় যুক্ত করতে কিছু পরিবর্তন আনতে হবে।
তিনি বলেন, সংস্কার কমিশন আমাদের সঙ্গে আলোচনা করতে এসেছে। কারণ উনারা সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন খুবই শীঘ্রই সরকারে কাছে দিয়ে দেবেন। আমাদের কোন সুপারিশ বা বক্তব্য আছে কি না তা জানতে চেয়েছেন উনারা। আমরা বিভিন্ন বিষয়ে যেটা ফিল করছি সেগুলো জানিয়েছি।
কোন কোন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ডেলিমেটেশন সংক্রান্ত কিছু আছে, ভোটার তালিকা সংক্রান্ত কিছু আছে। এছাড়া যেগুলো নির্বাচনের জন্য গুরুত্ব সেগুলো বিষয়ে আমাদের কিছু সুপারিশ থাকবে। উনারা সুপারিশ করুক আর না করুক আমাদের তা অ্যাড্রেস করতে হবে। তা নাহলে আমরা ডেলিমেটেশনটাকে অ্যাড্রেস করতে পারছি না। ভোটার তালিকায় যেহেতু যুবকদের আনতে চাই সেহেতু এখানেও কিছু পরিবর্তন আনতে হবে। আমরা তাদের বিষয়গুলো জানতে চাইনি। আমাদের কী প্রয়োজন সেগুলো বলেছি।
সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেন, সংস্কার প্রতিবেদন ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে দেওয়ার চেষ্টা করবো, তা না হলে জানুয়ারির ৩ তারিখের মধ্যে দিয়ে দেব।
সাক্ষাতের বিষয়ে সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে উনাদের কাছে জানতে চেয়েছি, উনাদের কোনো প্রস্তাব আছে কি না। কমিশন তো স্টেক হোল্ডার উনাদের কাছে জানতে হবে। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ক্ষেত্রে উনাদের কোনো সুপারিশ আছে কি না।
