
আজ শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম নগরের পলোগ্রাউন্ডের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত এক গোল টেবিল বৈঠকে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
‘ভারতের রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক আধিপত্য প্রতিরোধে, চট্টগ্রামের আঞ্চলিক সমস্যার সমাধান এবং বৈষম্যহীন কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজনীয়তা’ শীর্ষক এ গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগর।
তিনি বলেন, ‘আমাদের তরুণ প্রজন্মকে বোঝাতে হবে কিভাবে নিজের প্রতিদ্বন্দ্বী রাষ্ট্র পাকিস্তানকে দ্বিখণ্ডিত করার অন্তর্নিহিত ইচ্ছা সেটার বহিঃপ্রকাশ ১৯৭১ সালে ভারত করেছিল। শুধু বাংলাদেশের মানুষের জন্য নয়, নিজের সেভেন সিস্টারকে সেভ করার জন্য কিভাবে ভারত এই মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে।
শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়ে ভারত পুরো বাংলাদেশের মানুষের সেন্টিমেন্টের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে উল্লেখ করে সারজিস বলেন, ‘তাকে দেশে পাঠিয়ে বিচার মঞ্চে ফিরিয়ে দিতে হবে। ১৬ বছরে আওয়ামী লীগ ভারতকে বাংলাদেশের মনিবের কাতারে নিয়ে গিয়েছে। রক্তপিপাসু খুনি শেখ হাসিনার খুনের পিপাসা এখনো শেষ হয়নি।বিন্দুমাত্র অনুশোচনা না করে এই মহিলা এখনো খুনের কথা বলে আসছেন।’
আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘তারা (আওয়ামী লীগ) স্বেচ্ছায় দাসত্ব বরণ করেছে শুধুমাত্র নিজেদের ক্ষমতাকে নিরাপদ করার জন্য। তাদের কাছে দেশ, দেশের সার্বভৌমত্বের চেয়ে ক্ষমতার মূল্য বেশি ছিল। যে কোনো মূল্যে তারা ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিল, যার একটি প্রমাণ খুনি শেখ হাসিনা তার একটি অডিও রেকর্ডে নিজেই দিয়েছেন।’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই) বলেন, ‘স্বাধীন বাংলাদেশে প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ না করে দ্রুত নির্বাচন আয়োজন করা নিয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হলে তা দেশবাসী মেনে নেবে না।এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হলে তা হবে অত্যন্ত দুঃখজনক।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতে ইসলামের আমির শাহজাহান চৌধুরী চৌধুরী বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যার সঙ্গে সঙ্গে চট্টগ্রাম হুমকির সম্মুখীন। ভারত ৫৩ বছর নয় ৮৩ বছর পর্যন্ত ধ্বংসের চক্রান্ত করছে। ভারতের সঙ্গে ১৭ চুক্তি করেছে আওয়ামী লীগ। এই ১৭ চুক্তি কী আমরা বাংলাদেশের মানুষ তা জানি না। আরো অন্যান্য উপ চুক্তি করেছে। আওয়ামী লীগ আধিপত্যবাদীদের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী ওয়াদা দিয়ে তা বাস্তবায়ন করে না। রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিকভাবে এ আধিপাত্যবাদ থেকে উদ্ধার হতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের চট্টগ্রাম নগর সভাপতি মুহাম্মদ জান্নাতুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমানের সঞ্চালনায় বৈঠকে আরো বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম, প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকন, মাহবুবুর রহমান, হেফাজতে ইসলামের নগর সভাপতি তাজুল ইসলাম, নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় নেতা আশরাফ উদ্দিন মাহদী, বিএনপির নগর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ সম্পাদক এস এম সরোয়ার আলম, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি নাজিমুদ্দিন চৌধুরী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক রাসেল আহমেদ, খান তালাত মোহাম্মদ রাফি, খেলাফত মজলিসের নগর সভাপতি খুরশিদ আলম, গণ অধিকার পরিষদ নগর সভাপতি শাহ আলম ও নেজামে ইসলাম পার্টির নগর সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।
