নাজমুল আবেদীন ফাহিমের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি ফারুক আহমেদ। এমন ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর সরাসরি না বললেও আকার-ইঙ্গিতে বিসিবির পদ ছাড়ার ইঙ্গিতই দেন বিসিবির পরিচালক ফাহিম। তবে আজ সিলেটে সাংবাদিকদের বিসিবি সভাপতি জানিয়েছেন, দুজনের মধ্যে ঘটে যাওয়া ঘটনার সমস্যা সমাধান হয়েছে।
ফারুক বলেছেন, ‘ফাহিম ভাই আমার বয়োজ্যেষ্ঠ, সিনিয়র মানুষ।আমারও সিনিয়র প্লেয়ার। আমার অনেক সিনিয়র। সেদিক বিবেচনা করে উনি হয়তো মনঃক্ষুণ্ণ হয়েছেন। ফাহিম ভাই আর কোনো কথা বলতে চাননি।আমার পাশেই ছিলেন। মোটকথা আমরা সমস্যার সমাধান করেছি।
ভুল-বোঝাবুঝির কারণেই মনোমালিন্যর বিষয়টি ঘটেছে জানিয়ে ফারুক বলেছেন, ‘পদত্যাগ করতে চাননি। বলেছেন কাজ করা কঠিন।
পদত্যাগ করতে চান, এমন কিছু শুনিনি। যাই হোক, ফাহিম ভাইয়ের সাথে আমার কথা হয়েছে। যমুনা টিভির সাথে আমি কথা বলেছি। ফাহিম ভাই আমার সাথে ছিলেন।নতুন বোর্ড বলতে তো ফাহিম ভাই আর আমাকেই বোঝায়।
বাকি সবাই তো পুরনো। যখন কাজের মাত্রা বেশি লোক সংখ্যা কম তখন অনেক দিকে নজর দিতে হয়। তখন ভুল-বোঝাবুঝির সৃষ্টি হতে পারে। ওই জিনিস থেকেই উনি হয়তো চিন্তা করেছেন কাজ ঠিকমতো করতে পারছেন না।’ঘটনার দিন কিছুটা চাপে ছিলেন বলেও জানিয়েছেন ফারুক। বিসিবি সভাপতি বলেছেন, ‘টিকিটের চাপ ছিল, প্রেসিডেন্ট বক্সেও একটা ঘটনা ঘটেছে। সব মিলে দিনটা আমার সেরা দিন ছিল না। তখন একটা কথা এসেছে। কার সাথে কী বলেছি হয়তো আমার মনেও নেই। মতের অমিল খুব স্বাভাবিক। এখানে দোষের কিছু দেখি না। এগুলো আগে নিজেরা সমাধানের চেষ্টা করা উচিত।’
এর আগে অভিযোগ উঠেছে বিসিবি সভাপতি ফারুক ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সামনে ফাহিমকে তীব্র ভাষায় অপদস্থ করেছেন। সেই ঘটনা স্মরণ করতে না চাইলেও হতাশ হয়েছেন জানিয়ে এক বেসরকারি টেলিভিশনকে তিনি বলেছেন, ‘ও রকম একটা মন্তব্য… আমি স্পেসিফিকভাবে মন্তব্যটা বলতে চাই না কী ছিল। সেটা আমাকে খুবই হতাশ করেছে। এটা দিয়ে বোঝা যায় প্রেসিডেন্ট আমাকে সেভাবে গ্রহণ করছেন না।
ফাহিম আরো বলেছেন, ‘বিসিবি সভাপতির কাছে একাধিকবার কাজের স্বাধীনতা না পাওয়ার কারণে তার জন্য সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। আমার অনেক সময় মনে হয়, বোর্ডের বাইরে থেকেও আমি ভালো ভূমিকা রাখতে পারব। বোর্ডে থাকতে হলে আমাকে কাজ করতে দিতে হবে। যদি কাজ না করতে পারি, তাহলে বাইরে থাকাই ভালো।’